কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের পুর্ব ধনিরাম এলাকায় নীলকমল নদীতে সেতু না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ড্রামের তৈরি ভেলায় পারাপার হচ্ছেন দুই পাড়ের পাঁচ সহস্রাধিক মানুষ। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়ত, অসুস্থ ব্যক্তির জরুরি চিকিৎসা সেবা, কৃষকদের কৃষি পণ্য আনা নেয়া ও বাজারজাতকরণ সব কিছুতেই তাদের নির্ভর করতে হচ্ছে ওই ড্রামের ভেলার ওপর।
এ অবস্থায় দ্রুত ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, পুর্ব ধনিরাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া নীল কমল নদীতে স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে বাঁশ ও ড্রাম দিয়ে ভেলা তৈরী করে জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। ভেলার দুপাশে লাগানো রশি টেনে টেনে প্রস্থে প্রায় দুইশ মিটার নদী পারাপার হচ্ছেন তারা। এভাবে পারাপার হতে নদীতে পড়ে গিয়ে জামা কাপড় বইখাতা ভিজে নষ্ট হওয়া সহ আহত হচ্ছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ অনেকেই। চরম দূর্ভোগ ও ভোগান্তির মধ্য দিয়ে তারপরও প্রতিদিন শতশত মানুষ পারাপার হচ্ছেন ওই ড্রামের ভেলা দিয়ে। এখন পানি কম থাকায় সমস্যা কম হলেও বর্ষা মৌসুমে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয় তাদের।
পূর্ব ধনিরাম গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও ফজলুল করিম জানান, দুই পাড়ের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ আমরা এই ছোট্ট নদীটির কাছে জিম্মি। নদী পেরিয়ে ওপারে গিয়ে চাষাবাদ করা এবং ফসল নিয়ে আসার জন্য আমাদেরকে চরম কষ্ট পোহাতে হয়। ভোট আসলে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু ভোটের পরে আর তাদের দেখা মেলে না। তাই বাধ্য হয়ে আমরা ড্রামের ভেলায় পারাপার করে আসছি। আপনাদের মাধ্যমে সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আমাদের দাবী, এই জায়গায় একটি সেতু নির্মাণ হলে আমরা বেঁচে যাই।
এ প্রসঙ্গে ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিব্বির আহমেদ বলেন, পুর্ব ধনিরাম এলাকায় নীলকমল নদী দিয়ে দুপাড়ের জনসাধারণ খুব কষ্ট করে পারাপার হয়। জায়গাটি পরিদর্শন করে জনগণের কষ্ট লাঘবের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | ভোর ৫:০৪ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি