বিশাল সাইজের উল্কা পৃথিবার দিকে ধেয়ে আসছে বলে সতর্ক করেছে নাসা। নাসা থেকে জানানো হয়েছে, গ্রহাণুটি পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক। এটি পৃথিবীকে প্রতি ঘন্টায় ১৯,৬৮৫ মাইল বেগে আঘাত করতে প্রস্তুত। উল্কাটির গতি শব্দের গতির প্রায় ২৫ গুণ। নাসা সূত্রে খবর, আকৃতি অনুযায়ী এই উল্কাটি ১৪তম স্থানে রয়েছে।
এই উল্কাটির সন্ধান মিলেছিল ২০ বছর আগে। বিভিন্ন দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি তখনই জানিয়ে দিয়েছিল গতি বাড়িয়ে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহাণু ‘অ্যাপোফিস’। ‘অ্যাপোফিস’ মিশরীয় দেবতা। এই নামের অর্থ ‘গড অফ কেওস’। এই দেবতার নামানুসারেই এই গ্রহাণুর নামকরণ করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ২০২৯ সালের ১৩ এপ্রিল পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে চলে আসবে অ্যাপোফিস। ওই সময় পৃথিবী ও এই গ্রহাণুর মধ্যে দূরত্ব হবে ৩২ হাজার কিলোমিটার। সেসময় পৃথিবী থেকে খালি চোখেই এটি দেখা যাবে বলে দাবি করেছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অ্যাপোফিস উচ্চতার দিক থেকে পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের থেকে উঁচু। ৩৪০-৩৫০ মিটার ব্যাসের এই মহাজাগতিক বস্তুটি আয়তনে মোটামুটি তিনটে প্রমাণ মাপের ফুটবল মাঠের সমান। ৮ কোটি ৮০ লক্ষ টন টিএনটি বিস্ফোরণে যে শক্তি নির্গত হয়, এই গ্রহাণুর ধাক্কায় সেই পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হবে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয়, এর ধ্বংসক্ষমতা হিরোশিমায় ফেলা পরমাণু বোমার ধ্বংসক্ষমতার চেয়ে ৬৫ হাজার গুণ বেশি বলে আশঙ্কা গবেষকদের।
এদিকে মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, পৃথিবীর বাসিন্দাদের জন্য উল্কাটির বিপদ ডেকে আনবার সম্ভাবনা নেই। জানানো হয়েছে, কোনও গ্রহাণু যদি পৃথিবীর ৪.৬৫ মিলিয়ন মাইলের মধ্যে আসে এবং সেটির ব্যাস ১৪০ মিটারের বেশি হয় তবে তাকে সম্ভাব্যভাবে বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। এটির গতিবিধির দিকে ক্রমাগত নজর রাখছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত পরিচিত গ্রহাণুগুলির মধ্যে সবথেকে বড় এটি এমনটাই জানিয়েছে নাসা। জানানো হয়েছে, পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে গেলেও আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে, এই উল্কা থেকে কোন বিপদ আসবে না। সাধারণত, মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানেই গ্রহের খুব কাছ দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে গ্রহাণুটির।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৯:৩০ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি