মৌলভীবাজারের জুড়ীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন আহমদ ও তার ছেলের হামলায় ওই শিক্ষককের ছোট ভাই তুহিন আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন। উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের পশ্চিম বটুলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রের বরাতে জানা যায়, গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) পারিবারিক বিরোধের জেরে ফুলতলার এলবিন টিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহিন আহমদ ও তার ছেলে মারুফ আহমেদ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আপন ভাই তুহিন আহমেদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এতে তাঁর মাথা ও হাতের আঙুল কেটে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তুহিন আহমেদকে জুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তুহিন আহমেদকে তার ভাই ও ভাতিজা মিলে মাথায় দায়ের কুপ দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে ও হাতের আঙুল কেটে ফেলে। মাথা ও হাত থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত তুহিনকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছি।
এ বিষয়ে টেলিফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক শাহিন আহমেদ বলেন, তাঁর দোষ ছিলো বলেই তাঁকে মেরেছি। বিনা দোষে কেউ কাউকে মারে না।
ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম সেলু বলেন, তুহিনের আঘাত গুরুত্বর বলে শুনেছি। ফুলতলার মত শান্তিপ্রিয় এলাকায় এমন ঘৃন্য কাজের নিন্দা জানাই।
তুহিন আহমেদের পারিবারিক সূত্রের বরাতে জানা যায়, বিষয়টি জুড়ী থানায় অবহিত করা হয়েছে। তুহিন বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জুড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি