কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এখন আর শখের কোনো ডিভাইস নয়। এ দুটি ডিভাইস ছাড়া দৈনন্দিন কাজ চলে না বললেই চলে। অথচ কাজের সময় অনেক ক্ষেত্রে তা গতিহীন হয়ে পড়ে। কমান্ড শুনতেই চায় না।
তখন এক মিনিটের কাজ করতে লেগে যায় পাঁচ মিনিট। সময়ের অপচয়ে বিরক্তিও চরমে ওঠে। পরিস্থিতি এমন হলেও হতাশ না হয়ে সেটিকে গতিময় রাখার চেষ্টা করা উচিত। এ জন্য বেশ কিছু কৌশল রয়েছে। বিভিন্ন কারণে কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে। একদম নতুনের মতো সার্ভিস না পেলেও গতি বাড়ানোর পাঁচ কৌশল তুলে ধরা হলো –
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
✪ স্টার্ট-আপ প্রোগ্রাম ডিস্যাবল
প্রতিবার কম্পিউটার চালু হাওয়ার সময় অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম চালু হয়। আর এগুলো অজান্তেই নিজে থেকেই চালু হয়ে যায়। এগুলো চালু হতে বেশ সময় নেয়। তাই স্টার্ট আপ প্রোগ্রামের তালিকা থেকে এগুলো মুছে দেয়া উচিত। এতে কিছু দ্রুত কম্পিউটার চালু হবে এবং গতি বাড়বে।
✪ অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ডিলিট করা
কম্পিউটারে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় নানা প্রোগ্রাম ইন্সটল করা থাকে, যা অনেক জায়গা দখল করে নেয়। যদি কাজে না লাগে তাহলে এ সব প্রোগ্রাম আনইন্সটল করে দেয়াই ভালো। কেননা এতে র্যাম ও হার্ডড্রাইভের উপর প্রেসার কমবে এবং কম্পিউটার হবে গতিময়।
✪ হার্ডড্রাইভ খালি রাখা
কম্পিউটারে গতি হঠাৎ করে কমে গেলে হার্ডড্রাইভে জায়গা বৃদ্ধি করে দিতে হবে। অনেক সময় হার্ডড্রাইভ পূর্ণ হলে কম্পিউটার স্লো হয়ে যায়। তাই এ বিষয় খেয়াল রেখে হার্ডড্রাইভ নিয়মিত খালি রাখতে হবে। বিশেষ করে সি ড্রাইভ যেন খালি থাকে সে চেষ্টা করতে হবে।
✪ ম্যালওয়ার এবং অ্যাডওয়ার স্ক্যান
কম্পিউটার স্লো মনে হলে সবার আগে ম্যালওয়ার এবং অ্যাডওয়ার ইত্যাদি চেক করতে হবে। কেননা ভাইরাসের কারণে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। স্ক্যান করে ভাইরাস পেলে সেটি মুছে ফেলতে হবে দ্রুত। এতে করে সিস্টেমটি থাকবে সুস্থ এবং পারফর্মও করবে দ্রুত।
✪ ব্রাউজার
ইন্টারনেট চালাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা সফটওয়্যার হলো ব্রাউজার। এটি র্যামের বেশ জায়গা দখল করে নেয়। তাই ব্রাউজারে অপ্রয়োজনীয় অ্যাডঅন ব্যবহার করা উচিত নয়। এ ছাড়া এক সঙ্গে অনেকগুলো পেইজ ওপেন না করে প্রয়োজনীয় কয়েকটি ওপেন করা উচিত। এতে প্রেসার কম পরবে র্যামের ওপর এবং আপনি দ্রুত গতি পাবেন।