পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলি জারদারি। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন তিনি। বুধবার আন্তর্জাতিক গনমাধ্যম সুত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আসিফ আলি জারদারি।
এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং পিপিপি ইতোমধ্যে জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। সেই ঐকমত্যের অংশ হিসেবেই পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিতা আসিফ আলি জারদারিকে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। নতুন এই জোট সরকারের পিপিপি-পিএমএলএন ছাড়াও রয়েছে আরো ৪টি রাজনৈতিক দল। এগুলো হলো- মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট পার্টি (এমকিউএমপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদে আজম (পিএমএলকিউ), ইস্তেকাম-ই পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি) এবং বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি)।
আজ বুধবার পিএমএলকিউ’র চেয়ারম্যান চৌধুরী সুজাত হাসানের বাসভবনে ৬ রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, ৬টি রাজনৈতিক দল জোট সরকার গঠনে ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আসিফ আলি জারাদারি।
অন্যদিকে, নানা নাটকীয়তা ও দেন-দরবারের পর অবশেষে পাকিস্তানে নতুন সরকার গঠনের জটিলতা কাটছে। পিএমএল-এন ও পাকিস্তান পিপলস পার্টিসহ (পিপিপি) কয়েকটি দল মিলে জোট করে সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে নওয়াজ শরিক কিংবা বিলওয়াল ভুট্টো কেউই প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন না। দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদে আবারও ফিরছেন নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ইসলামাবাদে দলগুলোর নেতাদের বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পিপিপির কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি নতুন জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। এ সময় শাহবাজ শরিফও একই কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ১৬তম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়েছে পাকিস্তানে। কিন্তু পাকিস্তানের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মোট আসনসংখ্যা ২৬৬টি। এসব আসনের মধ্যে ২৬৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছে। কোনো দল বা জোট যদি সরকার গঠন করতে চায়, তাহলে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির অন্তত ১৩৩টি আসনে সেই দল বা জোটকে জয়ী হতে হবে। কিন্তু ৮ তারিখের ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, কোনো দলই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। এ পরিস্থিতিতে কোন দল সরকার গঠন করতে যাচ্ছে এবং সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন কে- দুই প্রশ্নকে ঘিরে টানা ৫ দিন অনিশ্চয়তা চলার পর আজ ঐকমত্যে পৌঁছাল ৬ রাজনৈতিক দল।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সময় এই এমকিউএমপি ছাড়া বাকি ৫টি দলই পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট বা পিডিম নামে একটি রাজনৈতিক জোটের শরিক ছিল।
সূত্র: জিও নিউজ।
আজ ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৮:৫০ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি