রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ইউক্রেনের ব্যাপক ড্রোন হামলায় একজন নিহত, দুটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র এবং একটি তেল ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সোমবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে এসব হামলা চালানো হয়। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার ইউক্রেন সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলের গভর্নর ভিয়াচেস্লাভ গ্লাডকভ মঙ্গলবার টেলিগ্রাম অ্যাপে জানান, সোমবার রাতের হামলায় এক ব্যক্তি নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন। এছাড়া কয়েকটি আবাসিক বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গ্লাডকভ আরও জানান, গত দিনে ইউক্রেনের হামলায় চারজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
দক্ষিণ রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলের গভর্নর ভাসিলি গোলুবেভ বলেছেন, ইউক্রেনের ‘ডজন ডজন’ ড্রোনের হামলায় একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে আগুন লেগে যায়। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
রাশিয়ার আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ভোলগোগ্রাদ অঞ্চলের কালাচ-অন-দন শহরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ভোলগোগ্রাদ অঞ্চলের গভর্নর আন্দ্রে বোচারভ টেলিগ্রামে জানান, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ধ্বংস করা ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ পড়ে একটি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র এবং একটি তেল ডিপোতে আগুন ধরে যায়। বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও তেল ডিপোর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীরা এখনও কাজ করছেন।
দক্ষিণ রাশিয়ার আস্ত্রাখান অঞ্চলেও ইউক্রেনের একটি বড় আকারের ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে বলে ওই অঞ্চলের গভর্নর জানান। তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
রাশিয়ার ভোরোনেজ ও কুর্স্ক অঞ্চলেও ইউক্রেনের ড্রোন হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। তবে কোনও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।
রুশ কর্মকর্তারা ইউক্রেনীয় হামলার ক্ষয়ক্ষতি পুরোপুরি প্রকাশ করেন না বলে ধারণা করা হয়।
রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে রাশিয়ার দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। ইউক্রেনের পক্ষ থেকেও কোনও তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই হামলার ঘটনা এমন সময় ঘটলো যখন সোমবার কিয়েভের প্রধান শিশু হাসপাতাল এবং ইউক্রেনজুড়ে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলায় অন্তত ৪১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম