ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে নতুন তথ্য দিয়েছেন আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজ।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবি প্রধান বলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখনই তারা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি আমাদের কাছে অকপটে স্বীকার করেছিলেন। এরপরও আরো বিস্তারিত জানতে আমরা আদালতে রিমান্ড আবেদন করি।
আসামিরা আমাদের জানিয়েছিলেন, ফয়সাল ও মোস্তাফিজের পাসপোর্ট ও ভিসার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন আক্তারুজ্জামান শাহীন।
তিনি আরো বলেন, যতদিন ফয়সাল ও মোস্তাফিজের পাসপোর্ট হয়নি ততদিন তারা শাহীনের বাসাতেই ছিলেন। সেখানে থেকেই শাহীনের পিএস এর মাধ্যমে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে। এরপর তাদেরকে ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছিলেন শাহীন। যেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজ রেলযোগে ভারত চলে যান। পরে প্রথমে সেখানে গিয়ে তারা হোটেলে ছিল। পরে সঞ্জীভা গার্ডেনে উঠেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, এমপি আনার গোপালের বাসার থেকে বের হওয়ার পর ফয়সাল লাল গাড়িতে করে তাকে নিয়ে এসে শিমুল ভূঁইয়ার কাছে পৌঁছে দেয়। পরে শাহিনের পিএস পিন্টুর মাধ্যমে ক্লু ফোন পায়। পরে সিয়ামের মাধ্যমে বাসায় নিয়ে যায়। এরপর চেয়ার-চাপাতিও ফয়সাল ও মোস্তাফিজ সেই বাসায় নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর সবাই ঐ বাসার থেকে বরে হওয়ার পর ফয়সাল ও মোস্তাফিজ সেই বাসায় থেকে যায়। তখন শাহীনে তাদেরকে বুঝায় যে বাসাটি যেনো ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়। কোথাও যেনো রক্তের দাগ লেগে না থাকে। তাহলে সিআইডি এলে বুঝে যাবে এবং তাদের গ্রেফতার করবে। এরপর যেন তারা বাংলাদেশে ফিরে।
তিনি আরো বলেন, ফয়সাল ও মোস্তাফিজের বাংলাদেশে ফেরার টিকিটও শাহীন করে দিয়েছিলেন। তারা দেশে ফিরে শাহীনের বাসায় উঠে। এরপর ১৯ তারিখ শিমুল ভূঁইয়া গ্রেফতার হওয়ার পর তারা লাগেজ ফেলে শাহীনের সিকিউরিটি গার্ডের কাছে রাখা ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়িয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম