সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমানের বিরুদ্ধে দরীদ্র কৃষকে হয়রানী সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এম আর কেসে ভুক্তভোগীর পক্ষে প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা দাবী করেন রায়গঞ্জের নলকা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমান। এ সময় ভুক্তভোগী আঃ আলীম দর কসাকশি করে ৫ হাজার টাকা দেয়। পরে নায়েব ফজলার আবারো তার অফিসে ডেকে আরো ৫ হাজার টাকার দাবী করেন। এই টাকা না দেয়ায় নলকা ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমান অকথ্য ভাষায় গালী গালাজ করে ভুক্তভোগী আলিম কে অফিস থেকে বের করে দিলেও টাকাটা ফেরত দেয়নি ওই ভূমি কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে গত ১০ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা ভূমি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন- ভুক্তভোগী হোড়গাতী গ্রামের মৃত আমজাদ শেখের ছেলে আঃ আলীম। তিনি বলেন- আমার পক্ষে প্রতিবেদন দেয়ার কথা বলে তিনি টাকা নিলেও পরে বিবাদীর কাছ থেকে মোটা টাকা নিয়ে তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দেয়। আমার টাকা গুলো ফেরত চাইলে আমাকে গালিগালাজ করে বের করে দেয়। আমি ন্যায় বিচার চাই।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী মোঃ সামিদুল ইসলাম বলেন, আমার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে আঃ আলিম নলকা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমান কে সেই টাকা আমার সামনে দেয়। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রনি ইসলাম বলেন- আঃ আলিম আমার সামনে সামিদুলের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে আমাদের সামনে নলকা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমান দিয়েছে। আলিম গরীব মানুষ তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তার বিরুদ্ধে মিধ্যা প্রতিবেদন দেয়ার ঠিক হয়নি। নলকা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমান টাকা ছাড়া কোন কাজ করে না।
এম আর মামলা প্রতিবেদন তার বিরুদ্ধে যাওয়ায় সে আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছে বলে জানান- নলকা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা ফজলার রহমান।
অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেবেন বলে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল।
ডিবিএন/এসডিআর/ মোস্তাফিজ বাপ্পি