আমি মোঃ জুয়েল মিয়া, পিতা-মোঃ মনু মিয়া, সাং-দক্ষিণ পাচাউন, ডাক-মির্জাপুর, উপজেলা-শ্রীমঙ্গল, জেলা- মৌলভীবাজার। শ্রীমঙ্গলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, আবাদি জমি সহ স্লুইসগেট হুমকির মুখে শিরোনামে অনলাইন পোটাল ও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টি গোচর হয়েছে।
সংবাদে বলা হয় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের শহরশ্রী গ্রামে অবস্থিত বড়ছড়া থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে বালু তুলছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা জুয়েল মিয়ার নেতৃত্বে একটি চক্র উল্লেখ করে স্লুইসগেট, সরকারি সেতু, চা বাগানের প্ল্যান্টেশন টিলার অংশবিশেষ দখল ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক কারো প্ররোচনায় মনগড়া কল্পকাহিনী তৈরী করে উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ইজারা নীতিমালা না জেনে প্ররোচনাকারীর আমার প্রতি ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতে সংবাদটি প্রকাশ করেছেন। যা সংবাদের ভাষায় পরিলক্ষিত হয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর প্রতিনিধিত্বকারী জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষে কার্যসম্পাদনকারী মহাপরিচালক, খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি), ১৫৩, পাইওনিয়ার রোড, সেগুনবাগিচা, ঢাকা কর্তৃক ২৬ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ১১ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ স্মারক নম্বর: ২৮,০৭,০০০০,০০০,৬৬.০০৭,১২,৩১৮ এর মাধ্যমে বৈধ ইজারা চুক্তি সম্পাদিত করেন। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এর অধীন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) ১১-১০-২০২৩ খ্রি. তারিখের ২৮,০৭,০০০০,০০৫,৬৬,০০৭.১২.৩১৮ নং স্মারক এবং বিএমডির ২৮-০৩-২০২৪ খ্রি. তারিখের ২৮.০৭,০০০০,০০৫.৬৬.০০৭.১২.২০ নং স্মারকের আদেশ অনুযায়ী মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন বড়ছড়া সিলিকা বালু কোয়ারি/মহালের নির্ধারিত তফসীল মোতাবেক ০১-০৪-২০২৪ খ্রি.তারিখে পূর্বাহ্নে ইজারাগ্রহীতা আমি মোঃ জুয়েল মিয়াকে সরেজমিনে/বাস্তবে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি)-এর মঞ্জুরিপত্রের শর্ত অনুযায়ী ১১অক্টোবর, ২০২৩ ইং হতে কার্যকর হয়।
জেলা কমিটির সুপারিশ, দাখিলকৃত পরিবেশগত ছাড়পত্র গৃহীত হওয়ায় বিদ্যমান পরিবেশগত ছাড়পত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্বেই অবশিষ্ট মেয়াদের পরিবেশগত ছাড়পত্র (Environmental Clearance Certificate) বিএমডি কর্তৃক নিশ্চিতকরণের শর্তে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলাধীন গেজেটভুক্ত বড় ছড়া সিলিকা বালু কোয়ারি (২.৫৮ একর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সম্মতি জ্ঞাপন করে। সে প্রেক্ষিতে, খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২ এর বিধি ১৬ অনুযায়ী নিম্নোক্ত শর্তে পত্র জারির তারিখ হতে পরবর্তী ২ (দুই) বছরের জন্য আমার অনুকুলে ইজারা মঞ্জুর করা হয়। এই স্থান থেকে সরকারের বৈধ রাজস্ব আয় হচ্ছে। আর গেজেটভুক্ত বড়ছড়া উল্লেখিত সুইসগেট, সরকারি সেতু, চা বাগানের প্লান্টেশন টিলা থেকে দের কিলোমিটার দুরে। বালু উত্তোলনের সব নিয়ম নীতি শর্তাবলী মেনে নির্ধরিত সময় পর্যন্ত বালু উত্তোলন করা হয়েছে। ইজারাকৃত জমি থেকে বালু উত্তোলনের সময় কিছু ব্যক্তি আমার নিকট চাঁদা দাবী করে। তাদের চাহিত চাঁদা না দেওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্থা করেছে। বর্তমানে আমার পুর্বের উত্তোলনকৃত বালুর রক্ষাবেক্ষণ করা ম্যানেজারকে গিয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের অফিসের লোক বলে পরিচয় দেয় ও বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা কথা জিজ্ঞাস করে এসে সংবাদ পরিবেশন করে।
ইদানিং বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় মনগড়া বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রনোদিত, মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একি সাথে আগামীতে বস্তুুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের অনুরোধ করছি।
মোঃ জুয়েল মিয়া, পিতা-মোঃ মনু মিয়া, সাং-দক্ষিণ পাচাউন, ডাক-মির্জাপুর, উপজেলা-শ্রীমঙ্গল, জেলা- মৌলভীবাজার।
আজ ৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | শীতকাল | ২০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৮:৪০ | সোমবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি