মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আয়োজিত হয়েছে মৌসুমের প্রথম চা নিলাম। একদিনের এই নিলামে বিভিন্ন জাতের প্রায় ১ লাখ কেজি চা নিলামে উঠে। এবং পঁচাত্তর হাজার কেজি চা বিক্রি হয় এই নিলামে। বৃহস্পতিবার (২ মে) শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্রে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চা নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
নিলামে শ্রীমঙ্গল ব্রোকার্স হাউজ, জালালাবাদ টি ব্রোকার্স হাউজ, রুপসী বাংলা টি ব্রোকার্স, জি এস ব্রোকার্স, সোনার বাংলা টি ব্রোকার্সসহ জেলার স্বনামধন্য ব্রোকার অংশ নেন। দুপুরে জমে উঠে নিলাম কেন্দ্রের চা বেচাকেনা।
এবারই প্রথম চা বোর্ডের নির্ধারিত দাম প্রতি কেজিতে ধরা হয় সর্বনিম্ন ১৬০ টাকা। এ নিলামে লোহাউনি চা বাগানের কালার চা সর্বোচ্চ দাম ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
চা কিনতে আসা একাধিক ক্রেতা জানান, নিলামের চায়ের গুণগত মান ও দাম ছিলো ভালো। এতে বেচাকেনাও বেশ ভালো হয়েছে।
এম আর খান চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নিলামে ভালো দাম পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, বৈরি আবহাওয়াতে চায়ের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে। এ অবস্থায় চায়ের নিলামে বেশ ভালো দাম পাওয়া গেছে।
শ্রীমঙ্গল টি ব্রোকার্সের পরিচালক মো.হেলাল আহমদ বলেন, মৌসুমের এই প্রথম নিলামে প্রায় ৭৫ শতাংশ চা বিক্রি হয়েছে। তবে চট্টগ্রামের ক্রেতা-বিক্রেতারা এ নিলামে উপস্থিত থাকলে চা বিক্রি আরও বাড়তো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, চা গবেষণা ইনিস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, চা বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক ড. রফিকুল হক।
বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশের তিনটি চা নিলাম কেন্দ্রে মোট ১০০টি চা নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৫০, মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ২৬ এবং পঞ্চগড়ে ২৪টি নিলাম হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৬:০১ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান (বাপ্পি)