পশ্চিমবঙ্গে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস। মূলত শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে এই রোগে। এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১১ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ৫০ ভাগ শিশু যাদের বয়স ৩ মাস থেকে ৫ বছরের মধ্যে তারা জ্বর, সর্দি, কাশি আর শ্বাসকষ্টে ভুগছে। আক্রান্ত শিশুদের ভিড়ে উপচে পড়ছে শহরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল। বহু শিশু আশংকাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে পেডিয়েটট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। প্রায় ১০ ক্ষুদে রয়েছে ভেন্টিলেশনে।
“ডিজিটাল বাংলা নিউজ” অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
শহরে শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৩-৪ বছর পরপর ঘুরেফিরে শহরে এই ভাইরাসের প্রভাব দেখা যায়। তবে নানা কারণে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় চলতি বছর ভাইরাসের প্রভাব অনেকটাই বেশি। সাধারণত জ্বর-কাশি, গলাব্যথার পাশাপাশি পেট খারাপ, বমি হয়ে থাকে এই ভাইরাসের আক্রমণে। তিন দিনের বেশি সময় ধরে জ্বর থাকলে, মাথাব্যথা, পেটখারাপ হলে চিকিৎসা আবশ্যক।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, অক্সিমিটার দিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা পরিমাপ করতে হবে। শ্বাসকষ্ট হলে মাস্ক ব্যবহার করা আবশ্যক। সেইসঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারও গুরুত্বপূর্ণ। দুই বছরের কম বয়সীরা অসুস্থ হলে তাদের আলাদা রাখা এবং অসুস্থ শিশুদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায় একজন আক্রান্ত হলেই তার হাঁচি-কাশি থেকে অন্য শিশু আক্রান্ত হচ্ছে। দ্রুত বাড়ছে সংক্রমণ।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অ্যাডিনোভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুস এবং শ্বাসনালির মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
ডিবিএন/ডিআর/মাহমুদা ইয়াসমিন