এবারের ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার চার মেধাবী শিক্ষার্থী সফলতা পেয়েছেন।
সম্প্রতি সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ঘোষিত ফলাফলে সারাদেশ থেকে ২ হাজার ৫২০ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। শুধু কুলাউড়া উপজেলা থেকেই চারজন মেধাবী শিক্ষার্থীর এই অর্জনে তাদের পরিবার ও এলাকায় খুশির আমেজ বিরাজ করছে।
উপজেলা থেকে বিসিএসে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য পিএসসির সুপারিশ প্রাপ্তরা হলেন–বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে মুহিবুর রহমান, শিক্ষা ক্যাডারে লুৎফুর রহমান, জিল্লুর রহমান চৌধুরী ও জুয়েল আহমেদ। তাদের মধ্যে মুহিবুর রহমান উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মখলিছুর রহমান ও আয়েশা আক্তারের ছেলে।
মুহিবুর রহমান এর আগে ৩৮তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে চুনারুঘাট সরকারি কলেজে কর্মরত আছেন। তিনি হিঙ্গাজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম এবং সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত লুৎফুর রহমান উপজেলার সদর ইউনিয়নের বনগাঁওয়ের প্রবাসী মো.আব্দুর রহমান ও রিনা বেগমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে বাবনিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত জুয়েল আহমেদ উপজেলার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের রুস্তমপুর গ্রামের মৃত মো. কবির মিয়া ও আফজান বেগমের ছেলে। তিনি ২০১১ সালে রাউৎগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০১৩ সালে উচ্চ মাধ্যমিক ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
শিক্ষা ক্যাডারে অপর সুপারিশপ্রাপ্ত জিল্লুর রহমান চৌধুরী উপজেলার পৌর শহরের উছলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক মৃত লুৎফুর রহমান চৌধুরী ও শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছা. দিলরুবা বেগমের ছেলে। তিনি ২০১৩ সালে নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় এবং ২০১৫ সালে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ সিলেট থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন।
কুলাউড়ার এই চার মেধাবী তরুণের সাফল্য অর্জনের বিষয়ে লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আতাউর রহমান বলেন, ‘আমাদের লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজের ২০১৩ সালের ব্যাচের দু’জন শিক্ষার্থীসহ কুলাউড়া উপজেলার চারজন শিক্ষার্থী এবারের বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় আমরা গৌরবান্বিত। শিক্ষার্থীদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।’
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি