লায়লা আক্তার ফারহাদের (৪৮) করা ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের (২৫) রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই মুহাম্মদ শাহাজাহান। অন্য পিঠে প্রিন্স মামুনের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয়পক্ষে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তার রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, গতকাল সোমবার দিবাগর রাতে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দাউদকান্দি থানা পুলিশ রাজধানী গুলশান বিভাগের ক্যান্টননমেন্ট থানার কাছে হস্তান্তর করে এই টিকটক সেলিব্রেটিকে। সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে ঢাকার সিএমএম কোর্টে নিয়ে যাওয়া সময় মামুনকে হাসিখুশি থাকতে দেখা গেছে। এ সময় তিনি বলেন, সত্যের জয় হবে।
গুলশান বিভাগের এসি (ক্যান্টনমেন্ট জোন) শেখ মুত্তাজুল ইসলাম জানান, আদালতে মামুনকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। মামুন নির্দোষ হলে সে ছাড়া পাবে। আর আমরা লায়লার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এখানে আদালত সবকিছু ঠিক করবে। সবকিছু তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন লায়লা। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মতো নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই। ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ঐদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সর্ম্পক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১১:২৫ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি