কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার চর-গোরকমন্ডল এলাকায় নির্মাণের ১৫ দিনের মধ্যে একটি ব্রীজ ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, আকারে ছোট হওয়ার কারনে ব্যাপক পরিমান পানি নিষ্কাশন করতে না পারায় ব্রীজটি ভেঙে পড়েছে।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তার বরাদ্দে ৪ লাখ ৩১ হাজার ২০০ টাকা ব্যয়ে চর-গোরকমন্ডল এলাকায় ১০ ফিট দৈর্ঘ্যের ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ শেষে হস্তান্তরের ১৫ দিনের মধ্যে গত ১৫ জুলাই রাতে ধরলার তীব্র স্রোতে সম্পুর্ন ব্রীজ ভেঙে পড়ে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ যাওয়া, জরুরী চিকিৎসা সেবা, কৃষি পণ্যে বিক্রয়সহ নিত্যনৈমিত্তিক প্রয়োজনে চরম দুর্ভোগে পড়ে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ।
চর-গোরকমন্ডল এলাকার নেসার আলী, জহুরুল হক ও শফিকুল ইসলাম জানান, আমরা বারবার বলেছি এখানে বড় ব্রীজ দেন। কিন্তু যারা কাজ করেছে তারা আমাদের কথা শোনেনি। মাত্র ১০ ফিট দৈর্ঘ্যের একটি ব্রীজ করেছে। ব্রীজের কাজের মানও ভাল ছিলনা। সেই সাথে ব্রীজের দুই পাশের সড়কের মাটি ভরাটের কাজ ভালভাবে না করায় ধরলার স্রোতে ব্রীজটি ভেঙে গেছে। আমরা মাত্র ১৫ দিন ব্রীজ দিয়ে চলাচল করেছি । ব্রীজ ভেঙে যাওয়ায় আমাদের চলাচলের বড় কষ্ট হয়েছে।
চর-গোরকমন্ডল আবাসনের বাসিন্দা তোফাজ্জাল হোসেন জানান, ব্রীজ ভেঙে যাওয়ায় আবাসনবাসীসহ হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে । ব্রীজের সাথে প্রায় ৪০ ফিট সড়ক ভেঙে বড় গর্তে পরিনিত হওয়ায় আমাদের ছেলে-মেয়েরা স্কুল-কলেজ যেতে পারছে না। আমরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে আছি।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ঠিকাদার হাছেন আলী জানান, ধরলার তীব্র স্রোতের কারণে ব্রীজটি ভেঙে গেছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি সেখানে ত্রানের বরাদ্দে একটি বড় ব্রীজ নির্মান হবে।
উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিপুল মিয়া জানান, সিডিউল অনুযায়ী ব্রীজটির কাজ সম্পুর্ন হওয়ায় চুড়ান্ত বিলের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আকস্মিক বন্যায় পানির তোড়ে ব্রীজটি সম্পুর্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে হয়েছে, নির্মাণ ত্রুটির জন্য নয়।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি