সম্প্রতি কাঁচা বাজারের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ও খুচরা বিক্রি নিয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর জরিপে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও তা খুচরা পর্যায়ে বিক্রিতে হাতবদলে দাম ৯ গুণ পর্যন্ত বেড়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা চেম্বার আয়োজিত ‘খাদ্য মূল্যস্ফীতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণে গতি-প্রকৃতি বিশ্লেষণ’ শীর্ষক সেমিনারে গবেষণার এই ফলাফল প্রকাশ করা হয়। ঢাকা চেম্বারের জরিপটি করা হয় চলতি বছরের আগস্টে দেশের ৮টি বিভাগের ৪৯টি জেলায়। এসব জেলার ৬০০ জনের কাছ থেকে জরিপের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়। তাদের মধ্যে আছেন উৎপাদনকারী, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী। এতে ২১টি পণ্যের তথ্য সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে ১২টি স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত, ৫টি আমদানি এবং বাকি ৪টি স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি করা হয়।
জরিপ থেকে জানা গেছে, দেশে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের গড় উৎপাদন ব্যয় ৪৯ টাকা ৬০ পয়সা। গত আগস্টে খুচরা বাজারে তা বিক্রি হয়েছে ২৩৬ টাকায়। তার মানে উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে পৌনে ৫ গুণ বেশি দামে কাঁচা মরিচ কিনেছেন ভোক্তারা। এছাড়া সম্প্রতি কাঁচা মরিচের দাম আরো বেড়েছে। বাজারভেদে ২২০-৩০০ টাকা। গত সপ্তাহে ৪০০-৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। প্রতি কেজি হলুদের উৎপাদন খরচ ৩৪ টাকা ৭৬ পয়সা। যদিও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি হলুদ গড়ে ৩২৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ উৎপাদন খরচের তুলনায় ৯ দশমিক ৩০ গুণ বেশি দামে হলুদ কিনতে হয়েছে ভোক্তাদের।
জরিপের তথ্যানুযায়ী, বিভাগভেদে বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন ব্যয় ও খুচরা পর্যায়ে দামের ব্যবধান ২ হাজার শতাংশ হয়ে থাকে। যেমন হলুদের উৎপাদন ব্যয় ও খুচরা পর্যায়ে দামের ব্যবধান বরিশালে ২ হাজার ১১ শতাংশ, কাঁচা মরিচে ১ হাজার ১০০ শতাংশ, মসুর ডালে ১ হাজার ২০ শতাংশ, মোটা চালে ৫৬৬ শতাংশ, শুকনা মরিচে ৩৪৪ শতাংশ, রসুনে ২০৪ শতাংশ।
অন্যদিকে আমদানি হওয়া নিত্যপণ্য আমদানি ব্যয়ের তুলনায় সর্বোচ্চ ৩৮ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হয়। যেমন আদা প্রতি কেজি ১৭১ টাকা ৫৫ পয়সায় আমদানি হয়। কিন্তু খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৩৮ টাকায়। এ ছাড়া শুকনা মরিচ ২৯৫ টাকায় আমদানি হলেও খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৩৬৫ টাকায়।
আজ ১৮ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:২০ | রবিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি