ইরানের বিমান হামলায় পাকিস্তানের সীমান্তে দুই শিশু নিহত হয়েছে। আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা। ইরাক ও সিরিয়ার পরপরই পাকিস্তানে এ হামলা চালানো হলো। তেহরানের ভাষ্য অনুযায়ী, ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাচ্ছে তারা। খবর এএফপির।
মঙ্গলবার দিনের শেষভাগে চালানো এই হামলাকে পাকিস্তান নিন্দা জানিয়ে ‘পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে পাকিস্তান। পাশাপাশি দেশটি বলেছে, অনর্থক এই হামলা চালানো হয়েছে।
ইরান এ হামলা সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা নাউর নিউজ জানায়, এ হামলায় জিহাদি সংগঠন জইশ-আল-আদলের পাকিস্তানি সদর দপ্তর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটি সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য ইরানে কালো তালিকাভুক্ত। গত কয়েক বছরে ইরানের ভূখণ্ডে বেশ কিছু হামলা চালিয়েছে তারা।
একই প্রেক্ষিতে সিরিয়ায় সন্ত্রাসী অবস্থান ও গোয়েন্দা সদর দপ্তরে এবং ইরাকের কুর্দি স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে গতকাল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের নাউর নিউজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছে, ‘পাকিস্তানের জইশ-আল-আদল সন্ত্রাসী সংগঠনের সদর দপ্তরে কিছুক্ষণ আগে হামলা চালানো হয়েছে।’
পাকিস্তানের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য জানাননি কোথায় এ হামলা চালানো হয়েছে। তবে ইরানের নাউর নিউজের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এ হামলা চালানো হয়েছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সীমান্তে। পাশাপাশি পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ইরান-পাকিস্তানের মধ্যে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ বেলুচিস্তান সীমান্তে এ হামলা চালানো হয়।
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের ওপর এ হামলা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য, যা গুরুতর পরিণতি বয়ে আনতে পারে। দেশটি বলেছে, তারা পাকিস্তানে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূততে তলব করে দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ১০:১০ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি