মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বন্যাদুর্গত এলাকার ২০০ পরিবারের মধ্যে বুধবার সেনাবাহিনীর সহায়তায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করেছে। এসময় বন্যার্তদের মাঝে ১৫০ পিস জারিকেন ও ৫ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ এবং সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ১৫০ পরিবারকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের বড়ময়দান, মুর্শিবাদকুরা, ইসলামপুর, হাল্লা এলাকায় মোবাইল ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়। এসময় উপজেলা উপ-সহকারি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন, তালিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এখলাছুর রহমান, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
হাকালুকি হাওর তীরবর্তী কানোনগো বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বালতি, জগ, কলসি, হাড়ি-পাতিল নিয়ে পানিবন্দি লোকজন এসেছেন বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে। এসব এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উদ্যোগে বন্যা কবলিত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ পানি শোধনাগার গাড়ির মাধ্যমে ফিল্টারিং করে নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। টিউবওয়েলগুলো নিমজ্জিত থাকায় শোধনাগারের গাড়ি থেকে ফিল্টারিং করা বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে ভোক্তভোগী লোকজনের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
উপজেলা উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মঈন উদ্দিন জানান, হাওর তীরবর্তী এলাকায় বারো হাজারের অধিক টিউবওয়েল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় যেখানে নিরাপদ পানির সমস্যা আছে সেখানে ভ্রাম্যমাণ ফিল্টারিং করে বিশুদ্ধ পানীয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। বড়লেখার বিভিন্ন এলাকা ও আশ্রয়কেন্দ্রে এই কার্যক্রম চলমান আছে। আর্সেনিক, আয়রন মুক্তকরণ ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে জলাশয় বা পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে বিশুদ্ধকরণ করা হয়। এসব পানি বন্যা দুর্গত মানুষের মধ্যে সরবরাহ করছি। এ ছাড়া পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ন্যাপকিন, জ্যারিকেন, নিরাপদ স্যানিটেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফিল্টারিং করে নিরাপদ সুপেয় পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২৫ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজ বাপ্পি