বিসিএসের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি)। গতকাল সোমবার রাতে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন পিএসসির চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।
সোহরাব হোসাইন বলেন, প্রশ্নফাঁস নিয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার ব্যাখ্যা আমরা দিয়েছি। তারপরও পুরো ঘটনাটি আরও অধিকতর তদন্ত করতে একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি সবগুলো পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন পিএসসির যুগ্ম সচিব ড. আব্দুল আলীম খান। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন, কমিশনের পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা এবং মোহাম্মদ আজিজুল হক।
কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘বিসিএস প্রিলি–লিখিতসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩০ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস’ শিরোনামে দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেল রবিবার একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এ সংবাদে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (পিএসসি) ক্যাডার ও নন–ক্যাডারসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনায় সিআইডি ১৭ জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছে- পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।
এ ছাড়াও রয়েছেন- সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিকেল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে পিএসসি বলে, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) কারও বিরুদ্ধে যদি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস বা প্রতারণা বা অন্য কোনো অবৈধ কার্যক্রমের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মেলে, তাহলে তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পিএসসি আরও বলে, টেলিভিশনে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অধীন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ রেলওয়ের নন-ক্যাডার ‘উপসহকারী প্রকৌশলী’ পদের নিয়োগ পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) এবং অন্যান্য নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রচার করেছে সে বিষয়ে পিএসসি’র দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম