৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে আওয়ামী লীগ। যে কারণে ৭ নভেম্বর এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। জিয়াউর রহমানের নতুন চিন্তা-ভাবনা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, মুক্ত অর্থনীতি এবং গণমাধ্যমকে মুক্ত করা এগুলো ছিলো তার চিন্তার বিষয়। কিন্তু যে অল্প সময় তিনি পেয়েছিলেন তার মধ্যে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছিলেন। বাংলাদেশকে নতুন পরিচিতি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদীতে রূপান্তরিত হয়ে দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ৭ নভেম্বর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৭ নভেম্বরকে জনগণের সামনে নিয়ে আসবো। তাই ব্যাপকভাবে এই দিনের ইতিহাস ও গুরুত্ব ছড়িয়ে দিতে বিএনপি ১০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
কর্মসূচিসমূহ হলো: ১। ৬ নভেম্বর রাজধানীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর স্থান পরে জানানো হবে।
২। ৭ নভেম্বর ভোর ৬ টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ১০ টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন। সেদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং বিভাগীয় শহরের একই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
৩। ৮ নভেম্বর বিকেল তিনটায় রাজধানী ও বিভাগীয় শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রের সাথে আলোচনা করে জেলাগুলোতে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করবে।
এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো কেন্দ্রের সাথে পরামর্শক্রমে নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
যৌথসভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি অংশ নেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, কৃষকদলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।
আজ ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি | সকাল ৯:৩২ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি