ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আমার মা মারা গেছেন। আর যেন কোনো মা, সন্তান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা না যায়, এমন মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডেঙ্গু মোকাবেলায় পূর্বপ্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনার সময় এ কথা বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু হাসপাতাল প্রস্তুত রেখে দায়িত্ব পালন করলেই হবে না। ডেঙ্গুতে যাতে মানুষ আক্রান্ত না হয়, সবাই মিলে সেই চেষ্টা করতে হবে। সরকার ডেঙ্গু চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা অনেক আলোচনা করেছি। আমি নির্দেশনা দিয়েছি যাতে ডেঙ্গুকালীন কোনোভাবেই স্যালাইন সংকট দেখা না দেয় এবং স্যালাইনের দামও না বাড়ে।
এছাড়া হাসপাতালগুলোকে খালি রাখার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে করে পরে সার্জারি বা ভর্তি না করিয়ে চিকিৎসা দেয়া যায়, এমন যারা আছে তাদের হাসপাতালে ভর্তি না করে যাদের প্রয়োজন তাদের ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, সব রোগের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, যাতে রোগটি কারো হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করা যায়। যাতে মানুষের ডেঙ্গু না হয় সেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
মশা নির্মূলে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন এবং যে ঘরে মানুষ থাকে সেখানকার সবাইকেই সচেতন থাকতে হবে।
এছাড়াও, আমাদের ফগিং বিষয়ে কিছু ভুল ধারণা আছে। এ বিষয়ে আলোচনা করবো। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের সঙ্গেও ওপেনলি আলোচনা করবো। ডেঙ্গুতে বিনা চিকিৎসায় কেউ মারা যাবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের সকল ডাক্তার ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে অভিজ্ঞ। কাজেই সঠিক সময়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হলে, চিকিৎসায় কোনো সমস্যা হবে না। তবে এবার গ্রাম পর্যায়ে ডেঙ্গু পৌঁছালে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। আরও বলেন, কারও একার পক্ষে ডেঙ্গু মোকাবেলা সম্ভব না।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম