অবৈধভাবে চাল মজুতদারদের মজুতের সমপরিমাণ জরিমানা করা অথবা বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে কঠোর শাস্তির হুশিয়ারি দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, এখন থেকে তারিখ উল্লেখ করে মিলগেটের প্রাইস বস্তার গায়ে অবশ্যই থাকতে হবে। কেনো অবৈধ মজুতদারদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, তা জানতে প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) রাজশাহীতে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয় মতবিনিময় সভায় চাল মিল মালিক ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে একথা বলেন তিনি।
চলতি বছর নির্বাচনের পর থেকেই বাড়ছে চালের দাম। খুচরা পর্যায়ে যা কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এ নিয়ে অস্বস্তিতে খোদ খাদ্যমন্ত্রী। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ দাম বাড়িয়ে মিলার ও ব্যাবসায়ীরা খোঁড়া যুক্তি দাঁড় করালে তা কোন ক্রমেই বরদাস্ত করা হবেনা বলে হুশিয়ারি দিলেন খাদ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সারাদেশে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন মাঠে নেমেছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে। কেউ চালের দাম বাড়ালে, সেটা বরদাস্ত করা হবে না।
রাজশাহী বিভাগীয় প্রশাসনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের সব জেলার চাল কল মালিক, চাল ব্যবসায়ী, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা। সভায় মন্ত্রী বলেন, নতুন সরকারের প্রধান গুরুত্ব হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানো।
অভিযানে অবৈধভাবে চাল মজুতদারদের মজুতের সমপরিমাণ জরিমানা করতে হবে, অথবা মামলা করে জেলে দিতে হবে। নামমাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া যাবে না। মজুদদাররা যে দলেরই হোক না কেন,যার আত্মীয়ই হোক না কেন কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন,অবৈধ মজুতদার ও দাম বৃদ্ধিকারী চক্রের খোঁজ দিতে সাংবাদিকরা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করবেন।
যারা চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন, সেই মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা একে অন্যকে দোষারপ করে কথা বলেছেন। নওগাঁ অটোমেটিক রাইসমিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে অবৈধ মজুতদার কম তবে মিলে চালের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা, কিন্তু খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৮ টাকা। সেটা তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।
চলতি সপ্তাহে নওগাঁ জেলা জুড়েই অন্তত ২০টি অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। যেখানে অবৈধ মজুতদারদের জেল ও জরিমানা করা হয়। মন্ত্রীর আশা, সবাই মিলে এক সঙ্গে কাজ করলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম