পাইকগাছা থানা পুলিশ আন্ত জেলা অজ্ঞান পাটির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। বৃহষ্পতিবার ভোররাতে অভিযান চালিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলার চর ডুমুরিয়া এলাকা থেকে আনোয়ার ঢালী(৩৪) গ্রেফতার করে। সে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানার মৃত্যু ইউনুছ ঢালী ছেলে। তার স্বীকারোক্তিতে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানা এলাকা থেকে দুটি চোরাই ইজিবাইক সহ আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ৯ আগষ্ট কয়রা থানার অর্জুন পুর গ্রামের ইজিবাইক চালক নুর ইসলাম (৪৫) কে অজ্ঞান করে পাইকগাছা হাসপাতালে ফেলে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নুর ইসলাম বাদী হয়ে পাইকহাছা থানায় অজ্ঞাতদের নামে মামলা করে।
নুর ইসলাম জানান, গত বুধবার সকালে একটি মোবাইল থেকে আমাকে মোবাইলে ফোন করে। তিনি বলেন আমার একটি রুগি কয়রার জাইগীর মহল হাসপাতালে রয়েছে। তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে হবে। তখন আমি হাসপাতালের সামনে বসে থাকি। একজন লোক রুগির জন্য খাবার নিয়ে যায এবং আমাকে বলে তুমি বসে থাক। আমি বসে ছিলাম কিছুক্ষন পরে হাসপাতালের ভিতর থেকে বেরিয়ে বলে এই খাবার খাও রুগি আসছে। আমি খাবার খেয়ে গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়ি। তখন আমাকে গাড়ির পিচনে করে পাইকগাছা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে রেখে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি ওই মোবাই নাম্বারটি পাইকগাছা থানা পুলিশকে দেই। সে অনুযায়ী খুলনা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) ও পাইকগাছা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শ তাকবির হোসেন নের্তৃত্বে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে বৃহষ্পতিবার ভোররাতে রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, খুলনার সোনাডাঙ্গা থানা এলাকার আক্কাজ কোঠালির ছেলে আলামীন কোঠালি(২৪), একই এলাকার ইউসুফ ঢালীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (২৪), ও কয়রা থানার ৪ নং কয়রার আব্দুল অহেদের ছেলে আব্দুস ছালাম মোল্যা মাদানী(৫১) গ্রেফতার করা হয়।
পাইকগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, অজ্ঞান পাটির ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা বিভিন্ন এলাকায় মটর সাইকেল চালক ও ইজিবাইক ড্রাইভারকে খাবারের সাথে অজ্ঞান করার ঔষধ খাওয়া অচেতন করে সে গুলো নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। তাদের সাথে আরো সদস্য রয়েছে বলে তারা জানান। তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি