আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের পর এবার গোল্ডেন ভিসা চালু করেছে ওমান। বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার ও বাহরাইনের ভিসা পদ্ধতিতেও ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালে বিত্তবান ও বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বিদেশিদের আকৃষ্ট করতে সংযুক্ত আরব আমিরাত গোল্ডেন ভিসা চালু করে। আরব আমিরাতের এ ফর্মুলায় কয়েক মাস আগে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ওমান একই ধরনের ভিসা চালু করে।দেশটির গোল্ডেন ভিসা এরই মধ্যে অসংখ্য প্রবাসী বাংলাদেশি পেয়েছেন। এছাড়া অনেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান দুই দেশেরই গোল্ডেন ভিসা পেয়েছেন। গোল্ডেন ভিসার সুবিধা নিয়ে তারা দুই দেশে বাণিজ্য সম্প্রসারণ করেছেন। অনেকে জায়গাজমি কিনে বসবাস করছেন।
গোল্ডেন ভিসা কারা পায় এবং কী সুবিধা মেলে?
সুনির্দিষ্ট কিছু ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে ইস্যু করা ভিসার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রের মেধাবীরা বসবাস, চাকরি ও অধ্যয়ন করার সুযোগ পান। সামনে শিক্ষক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন খাতের মেধাবী পেশাজীবীরা এর আওতায় আসবেন। দুই মিলিয়ন দিরহামের প্রপার্টি কিনলে বা সমপরিমাণ অর্থ সেখানকার ব্যাংকে রাখলেই এ ভিসার জন্য আবেদন করা যায়। ভিসাটি ১০ বছরের বৈধ ও নবায়নযোগ্য। এটি পেলে ছয় মাসের মধ্যে একাধিকবার সে দেশে যাওয়া যায়। রেসিডেন্ট পারমিটও ইস্যু করা হয়। ভিসাধারী ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে থাকতে পারবেন। তবে ভিসার জন্য ব্যক্তিকে কমপক্ষে স্নাতক পাস আর তার মাসিক বেতন কমপক্ষে ৩০ হাজার দিরহাম হতে হবে। খেলা, শিল্প, সংস্কৃতি, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, আইনসহ কয়েকটি ক্ষেত্রের মেধাবীরা আবেদন করতে পারেন। তাদের ক্ষেত্রে শুধু মেধা যাচাই করবে সেখানকার কর্তৃপক্ষ।