বগুড়ার শেরপুরে জমে উঠেছে ঈদের বাজার। রমজানের শুরুতে কেনাকাটা কিছুটা কম হলেও ২০ রমজানের পর থেকেই শুরু হয়েছে বেচাকেনার ধুম। শহরের বিভিন্ন মার্কেটে নারী ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে অনেক বেশি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেরপুরের শেরশাহ নিউ মার্কেট, উত্তরা প্লাজা, ডক্টরস কমপ্লেক্স, সৈয়দা কমপ্লেক্স, শেরপুর প্লাজাতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ঈদ মার্কেট করতে এসেছে ছোট বড় সকল শ্রেণীর মানুষ। মার্কেটে নারী ক্রেতাদের ভিড় বেশি হলেও শিশু থেকে বৃদ্ধ সকল শ্রেণীর ক্রেতা সরগমে মুখরিত হচ্ছে মার্কেটের বিপণী বিতান গুলো। শাড়ি, থ্রিপিস, প্যান্ট, শার্ট, জুতা এর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রসাধনী, কসমেটিক সামগ্রীও ক্রয় করছেন ক্রেতারা। উপজেলা শহরের পাশাপাশি মির্জাপুর, ছোনকা, মহিপুর বাজার এলাকায়ও গড়ে উঠেছে ঈদের বাজার।
শেরশাহ নিউ মার্কেটের চৌধুরী ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী মহেশ্বর জানান, রমজানের শুরুতে কেনাকাটা কিছুটা কম হলেও বর্তমানে ক্রেতাদের চাপ আছে। সামনের দিনগুলোতে ক্রেতার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে হচ্ছে। বিশেষ করে যারা চাকরিজীবী অনেকেই বেতন পাননি। দু একদিন পর তারাও মার্কেটে আসবে।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা জান্নাতুল মাওয়া জানান, এইবার ঈদের বেশ সুন্দর সুন্দর কালেকশন দেখলাম। দামটা গত বারের চেয়ে তুলনামূলক অনেক বেশি। আর ঈদের দিন যত কাছে আসছে ততই মার্কেটে ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। সাথে পরিবেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। অসহনীয় গরমে কেনাকাটা করতে আসাটা অনেক কষ্টসাধ্য।
শেরশাহ নিউ মার্কেটের সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম মুঞ্জু জানান, শেরপুরের সকল শ্রেণীর মানুষ এই মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসেন। মানসম্মত পণ্য দিয়ে ভোক্তার সেবা নিশ্চিত করতে ও ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মার্কেট কমিটি সতর্ক অবস্থানে আছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, ঈদের বাজারে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। ক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে থানা পুলিশের কাজ চলমান রয়েছে।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৩:৩৮ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি