চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশে বসবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর আগে ২০২২ সালে নারী এশিয়া কাপ আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অবশেষে পুরুষদের বড় ইভেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বিসিবিকে দেয়া হলো পুরুষদের এশিয়া কাপ আয়োজনের দায়িত্ব। ২০২৭ সালের এশিয়া কাপের আয়োজক হবে বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৬ সালে এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল বিসিবি।
২০২৭ সালের ওয়ানডে ফরম্যাটের আসর আয়োজনের জন্য বিসিবির ওপরেই আস্থা রেখেছে এশিয়ান ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তবে ২০২৭ সালের এশিয়া কাপের আগে ভারতে ২০২৫ সালের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ বসবে। আসন্ন এ দুই আসরের স্পন্সরশিপ রাইটের জন্য বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে এসিসি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় বসে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপ। তবে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ছিল না এশিয়া কাপের আয়োজন। ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আবার ফিরবে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ২০২৫ সালে ভারতের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে এসিসি। উদ্দেশ্য পরের বছরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। একই নিয়ম মেনেই ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে একই বছরের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। এশিয়া কাপের পরই দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ায় বসবে বিশ্ব ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের আসর।
এদিকে এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বাংলাদেশে হবে এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের এই লড়াই। ১৭তম এই আসরের আগে আরও পাঁচবার এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিল লাল-সবুজেরা। ১৯৮৮ সালে তৃতীয় আয়োজক হিসেবে আবির্ভাব হয় বাংলাদেশের। ১ যুগের বিরতি দিয়ে ২০০০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ বসে বাংলাদেশে। এরপর ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ আয়োজন করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০১২ এবং ২০১৬ আসরে বাংলাদেশ খেলেছিল ফাইনাল। ২০১২ সালে পাকিস্তান আর ২০১৬ সালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা থেকে বঞ্চিত হয় টাইগাররা।
আজ ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | রাত ৪:২১ | শুক্রবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি