ইসরাইলি হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুতের এ সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখে দাঁড়িয়েছে। জানিয়েছেন জতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ক সিগরিদ কাগ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০২ জুলাই) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে তিনি এ তথ্য জানান।
বুধবার (০৩ জুলাই) তুরস্কের সংবাদ সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দাদের সরে যেতে ইসরায়েলের নতুন আদেশে ‘গভীর উদ্বেগের’ কথা জানান জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ক।
জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা বলেন, ফের বাস্তুচ্যুত হলো ১০ লাখের বেশি মানুষ, যারা আশ্রয় ও নিরাপত্তার জন্য মরিয়া। বর্তমানে গাজাজুড়ে বাস্তুচ্যুত ১৯ লাখ মানুষ।
তিনি আরও বলেন, খান ইউনিস এলাকা খালি করা সংক্রান্ত আদেশ জারির প্রতিবেদন নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের আল কারারা, বানি সুহাইলা ও অন্যান্য এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ইসরায়েলি আদেশের ভুক্তভোগী আড়াই লাখের মতো মানুষ।
সিগরিদ কাগ বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকরা অন্তহীন দুর্দশায়। তাদের গৃহজীবন তছনছ হয়ে গেছে; গোটা জীবন ওলট-পালট হয়ে গেছে।
তার ভাষ্য, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পৌঁছাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী। মানবিক বিপর্যয় রোধে বিশেষত দক্ষিণ গাজায় নতুন সীমান্ত ক্রসিং খোলা দরকার।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম