ভারতের নবনির্বাচিত বিজেপি-দলীয় এমপি ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের গালে থাপ্পড় মেরে গ্রেফতার হওয়া সেই সিআইএসএফের নারী কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌরের জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তার জন্য ১ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিবরাজ সিং বাইনস নামে মোহালির এক ব্যবসায়ী। তিনি জানান, থাপ্পড়কাণ্ডে অভিযুক্তকে নারীকে ১ লাখ রুপি পুরস্কার দেবেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে নেটদুনিয়ায়।
বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করা সিআইএসএফের কনস্টেবল কুলিন্দর কৌরের এমন কাজের অভিবাদন জানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন শিবরাজ সিং বেইনস। এতে তিনি পাঞ্জাবের জনগণ ও পাঞ্জাবের সংস্কৃতি রক্ষার জন্য কৌরকে অভিবাদন জানিয়েছেন।
এ ছাড়াও কুলবিন্দরের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেকে তার ভাই হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন শের সিং মাহিওয়াল নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, বোনকে পুরোপুরি সমর্থন করি। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ওই কনস্টেবলের ভাই হিসেবে বক্তব্যও রাখতে শোনা যায় তাকে।
এদিকে জনপ্রিয় সঙ্গীত সুরকার এবং গায়ক বিশাল দাদলানি এখন তার ইনস্টাগ্রামে এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওই নারী কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাঁর জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, আমি কখনই সহিংসতা সমর্থন করি না, তবে আমি এই সিআইএসএফ কর্মীর রাগের বিষয়টি বুঝতে পারি। সিআইএসএফ যদি তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় তবে সে যদি চায় তবে তার জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করব।
কঙ্গনা রানাওয়াত এবার বিজেপি প্রার্থী হিসেবে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আসন থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার দুই দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি আসার পথে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অনাকাঙ্ক্ষিত ওই পরিস্থিতির মুখোমুখি হন কঙ্গনা।
এ ঘটনার পর এক ভিডিও বার্তায় কঙ্গনা বলেন, তিনি সংবাদমাধ্যম ও শুভানুধ্যায়ীদের অনেকের কাছ থেকে প্রচুর ফোন পাচ্ছেন। ওই নারী কনস্টেবল আমার দিকে এগিয়ে এসে মুখে আঘাত করেন এবং আমাকে নিপীড়ন করতে শুরু করেন। কারণ জিজ্ঞাসা করতে তিনি (নারী কনস্টেবল) বলেন, যে তিনি কৃষক আন্দোলন সমর্থন করেন।’
কঙ্গনা আরও বলেন, ‘আমি নিরাপদ আছি। কিন্তু আমি উদ্বিগ্ন যে পাঞ্জাবে সন্ত্রাস বাড়ছে…কীভাবে আমরা এটা সামলাব?’
কঙ্গনাকে হেনস্থা করার বিষয়ে ওই নারী কনস্টেবল বলেন, ‘কঙ্গনা বলেছিলেন যে কৃষকেরা দিল্লিতে বিক্ষোভ করছেন; কারণ, তাদের ১০০ বা ২০০ রুপি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই বিক্ষোভকারীদের একজন ছিলেন আমার মা। এজন্য মায়ের সম্মান রক্ষায় সে এমন কাজ করেছে।’
এদিকে কঙ্গনাকে চড় মারার ঘটনায় কুলিন্দর কৌরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম