ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি হারের পর এবার দ্বিতীয়ও ম্যাচেও হারলো বাংলাদেশ। জয়-শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ৭ উইকেটে ২৬৮ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য পঞ্চম ও শেষ দিনে ২৪৩ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের।
প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান করে শ্রীলঙ্কা। পরে বাংলাদেশ অলআউট হয় স্রেফ ১৭৮ রানে। ফলো অন না করিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে লঙ্কানরা। ৫১১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩১৮ রান করে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের ভাগ্য মূলত নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। শেষদিনে বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। কত দ্রুত শ্রীলঙ্কা তুলে নিতে পারে বাংলাদেশের বাকি তিন উইকেট, অথবা ব্যবধান কতটুকু কমাতে পারেন মেহেদী হাসান মিরাজরা- সেটিই ছিল দেখার।
সব মিলিয়ে শেষদিনে প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট খেলতে পেরেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ব্যক্তিগত অর্জনে হাফ সেঞ্চুরি যোগ হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের নামের পাশে। তাইজুল ইসলাম, হাসান মাহমুদদের নিয়ে বেশ ভালো লড়াইও করেছেন তিনি।
সকালে বাংলাদেশকে প্রথম আঘাত করেন কামিন্দু মেন্ডিস। তাইজুল ইসলামকে ফিরিয়ে টেস্টে প্রথমবার বল হাতে নেওয়া ইনিংসে তিন উইকেট পেলেন তিনি। ২৮ বলে ১৪ রান করা তাইজুলের ক্যাচ গলিতে নেন নিশান মাদুশকা।
এরপর মিরাজের সঙ্গী হন হাসান মাহমুদ। তিনি সঙ্গে থাকতেই হাফ সেঞ্চুরি ছুয়েও ছুটছিলেন মিরাজ। কিন্তু হাসানের ২৫ বলের ইনিংসের ইতি ঘটে লাহিরু কুমারার বলে। শরীর বরাবর আসা বাউন্সারে পাশেই হেলমেট পরে দাঁড়িয়ে থাকা মাদুশকার হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
এরপর অপেক্ষা ছিল কতক্ষণ মেহেদী হাসান মিরাজ থাকতে পারেন বা করতে পারেন কত রান। তিনি ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথেই। কিন্তু ৮ বলে ২ রান করে খালেদ আউট হয়ে গেলে অপরাজিতই থাকতে হয় মিরাজকে। ১১০ বলে ৮১ রান করেছেন তিনি।
শ্রীলঙ্কার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেছেন কুমারা। এ ছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস নেন ৩ উইকেট।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম