ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে পৌঁছেছে প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ। ওপেন আর্মস নামক জাহাজটি ২০০ টন খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) থেকে ওই এলাকার সমুদ্রে অবস্থান করছে। তিনদিন আগে গ্রিক শাসিত সাইপ্রাস থেকে যাত্রা করেছিল এ নৌযান। খবর বিবিসি।
বিবিসি জানিয়েছে, এই ২০০ টন ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চাল, ময়দা, শিম, ক্যানজাত সবজি এবং ক্যানজাত মাংস। স্পেনের দাতব্য সংস্থা ওপেন আর্মস, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যৌথ উদ্যোগ ও অর্থায়নে পাঠানো হয়েছে এসব খাদ্যপণ্য। যে জাহাজটিতে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে, সেটির মালিক ওপেন আর্মস।
ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান শুরুর আগে দারিদ্র্য ও বেকারত্বপীড়িত গাজা উপত্যকায় বসবাসকারী ২০ লাখেরও বেশি ফিলিস্থিনির এক তৃতীয়াংশই ত্রাণের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। স্বাভাবিক অবস্থায় গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ সীমান্ত দিয়ে উপত্যকায় ত্রাণের সরবরাহ পৌঁছাত।
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রারাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এ খাদ্য সরবরাহ করেছে। এ কাজে সহযোগিতা করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। জাহাজে চাল, ময়দা, লেবু, টিনজাত শাকসবজি এবং টিনজাত প্রোটিন পাঠানো হয়েছে। যদিও গাজায় কোনো বন্দর নেই। এজন্য অস্থায়ীভাবে ডব্লিউসিকে দল একটি জেটি বানিয়েছে। যার মাধ্যমে জাহাজ থেকে খাদ্য নামানো হচ্ছে। তবে এসব খাবার কীভাবে বিতরণ করা হবে সে সম্পর্কে কিছু বলা নেই।
ডব্লিউসিকে’র প্রতিষ্ঠাতা সেফ জোস অ্যান্ড্রেস এক্স পোস্টে বলেন, জাহাজের খাদ্যগুলো পরিবহনে ১২টি ট্রাকে লোড করা হবে। আগামীতে আরও খাদ্য পাঠানো হবে।
নতুন সামুদ্রিক পথ চালু হলে গাজায় ক্ষুধার্ত মানুষের সংকট কিছুটা কমতে পারে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। যদিও সাহায্য সংস্থাগুলো বলেছে, সমুদ্রপথ ও বিমান থেকে ফেলে এই অঞ্চলের বিশাল চাহিদা মেটানো যথেষ্ট হবে না।
গাজায় সমুদ্রে পথে খাদ্য আনার ক্ষেত্রে প্রথমবার সফল হলে, এখানে আন্তর্জাতিকভাবে সহযোগিতার হার বেড়ে যাবে। কারণ অন্যান্য দেশগুলো তখন গাজায় সমুদ্র পথে জাহাজে পণ্য পাঠাবে
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম