শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি পেলেন অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। বছরখানেক আগেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি। তবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেটি বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই মধ্যে দিয়ে নিজের প্রথম সরকারি চাকরির অধ্যায়ের ইতি টানলেন এই অভিনেত্রী।
গতকাল সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নিলুফার ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্যোতিকা জ্যোতির অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই প্রজ্ঞাপনে জ্যোতি ছাড়াও শিল্পকলা একাডেমির চুক্তিভিত্তিক আরো চারজন পরিচালককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে অব্যাহতিপত্র পেয়ে নিজেকে অনেকটা ‘ভারমুক্ত’ মনে করছেন জ্যোতিকা জ্যোতি। পাশাপাশি খানিকটা আক্ষেপও শোনা গেল তার কণ্ঠে। ফেসবুকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের একটি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আমার প্রথম সরকারি চাকরি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমার চাকরির মেয়াদ থাকার পরও আমাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন। আজ (১ অক্টোবর) থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক পদের দায়িত্বে আমি আর নেই।’
এতদিন তার সঙ্গে কাজের সুবাদে যুক্ত থাকা লেখক, গবেষক, প্রকাশকদের তিনি অনুরোধ লিখেছেন, কোনো প্রয়োজনে সরাসরি শিল্পকলার গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগে যোগাযোগ করবেন। পাশাপাশি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘দেড় বছরের এই যাত্রায় নতুন নতুন অভিজ্ঞতায় আমাকে ঋদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।’
প্রসঙ্গত, গত বছরের (২০২৩) ১৩ মার্চ থেকে জ্যোতিকা জ্যোতি দুই বছরের চুক্তিতে একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পরিস্থিতি বিবেচনায় আর কর্মস্থলে উপস্থিত হননি তিনি। তবে সম্প্রতি শিল্পকলায় নতুন মহাপরিচালক হিসেবে সৈয়দ জামিল আহমেদের নিয়োগ হওয়ার খবর পেয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজ কর্মস্থলে গেছেন জ্যোতি। সেখানে গিয়ে সহকর্মীদের হেনস্তার মুখে পড়েন এই অভিনেত্রী। এই ঘটনার পরপরই শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি পেলেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
আজ ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | সন্ধ্যা ৭:২৮ | বৃহস্পতিবার
ডিবিএন/এসই/ এমআরবি