স্পোর্টস ডেস্কঃ ৯ বছর পর এশিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই টেস্ট সিরিজ জয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বলেন, এ সিরিজ জয়ই প্রমাণ করে দিয়েছে আমাদের দল নিয়ে যে সব সমালোচনা করা হচ্ছিল, তা সঠিক ছিল না।
তবে এশিয়ার মাটিতে এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেই সর্বশেষ টেস্ট সিরিজ জয় করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯ বছর পর তাই ঘটলো। নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে নিয়মিত অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও সহ-অধিনায়ক রোস্টন চেজেসহ প্রথম সারির ক্রিকেটারদের অভাবে ক্যারিবিয় দলটিকে ‘আন্ডার ডগ’ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।
কিন্তু তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরও ব্র্যাথওয়েট বার বার বলেছেন, দলটির উপর তার পুরো আস্থা রয়েছে। তারা টেস্ট সিরিজ জয় করতে পারবে।
ঢাকায় দ্বিতীয় টেস্টে ১৭ রানে জয়ের মাধ্যমে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করার সাথে সাথে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লজ্জাও দিয়ে দিয়েছে ক্যারিবীয়রা।
টেস্ট ম্যাচ শেষে অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট বলেন, ‘আমাদের কাছে ক্রিকেটই সবকিছু। আমাদের ভক্ত সমর্থকরা গর্বিত হবে। আমাদের বিপক্ষে সবাই লিখে গেছে। তবে আমরা সেটিকে আমলে নেইনি। বরং উপভোগ করেছি। আমরা প্রমাণ করেছি তাদের ধারণা ঠিক ছিল না।’
সফরকারী দলনেতা আরো বলেন, ‘আমি বলতে চাই, এটি দলগত সফলতা। ওয়ানডে দল ভালো করেনি। তবে এখানে আমরা (ভালো করতে) চেয়েছি। আমাদের একটি পরিকল্পনা ছিল। সেটি আমরা উপভোগ করেছি এবং সিরিজটি জয় করেছি।’
ব্র্যাথওয়েট আরও বলেন, ‘২০১২ সালের পর প্রথমবারের মতো এশিয়ার মাটিতে সিরিজ জয় করাটা দারুণ ব্যাপার। আমরা অনেক খেলোয়াড়কে রেখে এসেছি, অতিক্রম করেছি করোনা প্রটোকল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাওয়ায় আমি সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাই। ছেলেরা পরিকল্পনার প্রতি অবিচল ছিল, সুশৃঙ্খলভাবে খেলেছে। এদেরকে নিয়ে আমি গর্বিত।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই টেস্টের ৪ ইনিংসে একটি ডাবল-সেঞ্চুরির সাথে ২৬১ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন কাইল মায়ার্স। এছাড়া শীর্ষ পাঁচে শেষে তিনজনে রয়েছে বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান।
এদিকে সিরিজ সেরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের এনক্রুমার বোনার হয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। নিজের অভিষেক সিরিজে ২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৪ ইনিংসে ২৩১ রান করেন তিনি। সিরিজে সেরা পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তৃতীয় থেকে পঞ্চমস্থানে আছেন বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান। তারা হলেন, যথাক্রমে লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক মমিনুল হক। ২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে লিটন দাস ২০০, ১টি করে সেঞ্চুরি ও হাফ-সেঞ্চুরিতে মিরাজ ১৯৮ এবং ১টি সেঞ্চুরিতে ১৮৮ রান করেছেন মমিনুল।