৯৩ বছর বয়সে এসে ৫ম বারের মতো বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মার্কিন মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডক। স্থানীয় সময় গত শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় ৬৭ বছরের এলিনা ঝুকোভার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন তিনি। কনে রাশিয়ার একজন অবসরপ্রাপ্ত বায়োলজিস্ট।
মারডকের মালিকানাধীন ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সান-এ প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা গেছে, নবদম্পতি হাসছেন। এসময় মারডকের পরনে ছিল কালো স্যুট ও হলুদ টাই এবং এলেনার পরনে ছিল সাদা গাউন।
অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণকারী মারডক এর আগেও আরও চারবার বিয়ে করেছিলেন। তার ছয় ছেলে। ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, সান এবং টাইমসের স্বত্বাধিকারী নিউজ করপোরেশনের ইমেরিটাস চেয়ারম্যান তিনি। অবশ্য গত বছর ফক্স ও নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে, ছেলে লাচলানকে এ দায়িত্ব দেন তিনি।
জানা যায়, মারডক প্রথম বিয়ে করেছিলেন ১৯৫৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকারকে। ১৯৬৭ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। ওই বছরই তিনি বিয়ে করেন স্কটিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান সাংবাদিক আন্না টর্ভকে। ১৯৯৯ সালে তাদেরও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ওই বছর চীনা বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা ওয়েন্ডি ডেংকে বিয়ে করেন মারডক। এই বিয়েও টেকেনি। তাদের বিচ্ছেদ হয় ২০১৩ সালে। এবারে কিছুটা বিরতি নেন মারডক। এরপর ২০১৬ সালে বিয়ে করেন মার্কিন মডেল-অভিনেত্রী জেরি হলকে। ২০২২ সালে তাদেরও বিচ্ছেদ হয়।
গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা চ্যাপলেইন অ্যান লেসলি স্মিথের সঙ্গে মারডকের বাগদান হয়েছিল। কিন্তু পরের মাসেই হঠাৎ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার খবর আসে। তখন থেকেই এলেনার সঙ্গে মারডকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
চলতি বছরের মার্চে মারডকের সঙ্গে এলেনার বাগদান হয়। এর তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে বিয়ের পর্ব সারলেন তারা। তবে এলেনারও আগে একবার বিয়ে হয়েছিল রুশ তেল ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদ আলেকজান্ডার জুকোভার সঙ্গে।
গত শতকের পঞ্চাশের দশকে অস্ট্রেলিয়ায় কর্মজীবন শুরু করেন মারডক। ১৯৬৯ সালে যুক্তরাজ্যের নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ও সান সংবাদপত্র কিনে নেওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে তিনি মিডিয়া টাইকুনে পরিণত হন।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম