একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিপুল পরিমাণ টাকা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই সব টাকা হুন্ডির মাধ্যমে দুবাই থেকে বাংলাদেশে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে সিটি সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিটি সেন্টার থেকে টাকাসহ ব্যবসায়ী আলী হায়দার ও আরো দুজনকে আটক করে র্যাব। আলী হায়দার আমদানি-রফতানি ও ঠিকাদারি কোম্পানি ইউনাইটেড করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। আটক অন্যরা হলেন- গুলশানের আমেনা এন্টারপ্রাইজের জয়নাল ও ইউনাইটেড কর্পোরেশনের অফিস ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন। এদের মধ্যে জয়নাল একসময় হাওয়া ভবনের সাবেক কর্মচারী ছিলেন। র্যাব সূত্রে জানা যায়, তাদের কাছ থেকে নগদ আট কোটি টাকা এবং ১০ কোটি টাকার চেক পাওয়া গেছে। টাকার সঙ্গে তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত শরীয়তপুর-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী মিয়া নূরুদ্দীন আহম্মেদ অপুর লিফলেটও উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে ১৪ কোটি কালো টাকা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। র্যাব মহাপরিচালক জানান, সবশেষ শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মিয়া নুরুউদ্দিন অপুকে সাড়ে তিন কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে। টাকা পাঠানোর তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে র্যাব। এছাড়া চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি জেলায় টাকা পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দুই মাসে প্রায় দেড় শ কোটি টাকা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়েছে। এর কথিত মালিক মাহমুদের অ্যাকাউন্টে এক মাসে ৭৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বেনজীর আহমেদ বলেন, এখানে বিভিন্ন ক্যাশ বই আছে। সেখানে বিভিন্ন জায়গায় টাকা পাঠানোর স্লিপ আছে। দিনে কখনো ১১ কোটি, কখনো ২০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। তিনি জানান, যেখানে যেখানে টাকা গেছে সেখানেই নির্বাচনী সহিংসতা ঘটেছে। তার মানে আমরা বলতে পারি এখন পর্যন্ত যেসব জায়গায় নির্বাচনী সহিংসতা হয়েছে সেখানে এই টাকার অবদান রয়েছে। টাকার উৎস সম্পর্কে বেনজীর বলেন, টাকা এসেছে দুবাই থেকে হুন্ডি ও ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায় থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে আটকরা টাকার রেকর্ড লম্বা দিন রাখে নাই। তাই আমরা সব তথ্য পাইনি। র্যাব সদর দফতরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, আলী হায়দার টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় ছিলেন। সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক