মোঃ সদরুল কাদির (শাওন):: পড়াশোনায় মাত্র ৮ম শ্রেনী পাশ । তাতে কি ! রীতিমত সে ঢাকা মেডিকেলের অধ্যাপক পরিচয়ে বুক ফুলিয়ে ডাক্তারি করে বেড়াচ্ছিল। ঢাকা মেডিকেল থেকে এমবিবিএস। এফসিপিএস মেডিসিন। এমডি নিউরোলজি ; এফআরসিপি লন্ডন । সবই তার দখলে
নাম তার খোরশেদ আলম । বিরাট সাইনবোর্ড।
নিজেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছিল প্রায়। মাগুরায় এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্র্যমমাণ আদালত।
সম্প্রতি ভ্র্যামমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার দেব শর্মা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ কারাদণ্ড দেন।
এই ভুয়া চিকিৎসকের নাম খোরশেদ আলম। বাড়ি চট্টগ্রামে, বাবার নাম মোকসেদ আলম। ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের সাজা দেওয়ায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দীপক কুমার দেব শর্মা জানান, ঢাকা মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক, বিসিএস ও নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরিচয়দানকারী খোরশেদ আলম ঢাকা মেডিকেল থেকে এমবিবিএস ও এফসিপিএস মেডিসিন, এমডি নিউরোলজি এবং লন্ডন থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি অর্জন করেছেন বলে দাবি করার পাশাপাশি ব্যবস্থাপত্রে এ সকল ডিগ্রি উল্লেখ করেছেন।
এ পরিচয়ে দেড় মাস ধরে তিনি মাগুরা শহরের গ্রামীণ মেডিকেল সার্ভিসেস-এ রোগী দেখে আসছেন। তবে যাচাই করে দেখা গেছে, তার সকল সনদই ভুয়া। তার পড়োশোনা আসলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত! যে কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।