প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪০ জনে পৌঁছেছে। এরমধ্যে সবচেয়ে আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৫০ জন। প্রাণহানি ঘটেছে ২ হাজার ২২৭ জনে।
বৈশ্বিক এ মহামারিতে বেকায়দায় পড়েছে পুরো বিশ্ব। চীনে প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও ভাইরাসটিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ইতালিতে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮৮৯ জন। এদিকে ৫ হাজার ৯৮২ মৃত্যু নিয়ে স্পেনের অবস্থাও বিপর্যস্ত। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩ হাজারের বেশি।
ইউরোপের প্রায় সব দেশ লকডাউন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেকের বেশি মানুষ গৃহবন্দী। এরকম লকডাউন চলছে এশিয়া ও আফ্রিকাসহ অন্যানা মহাদেশেও। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আর স্বাস্থ্যমন্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের উত্তরাধিকার প্রিন্স চার্লসও।
এশিয়ার অবস্থাও নাজুক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে এশিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছে। ইরানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। গত ২৪ ঘণ্টায় যেখানে মারা গেছেন ১৩৯ জন। প্রতিদিন আরও হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। দেশটির অনেক আইনপ্রণেতা করোনায় আক্রান্ত। এরমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও রয়েছেন।
বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা এখন পর্যন্তক ৪৮ জন। এরমধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন। চিকিৎসা চলছে ২৮ জনের।