আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৭০ হাজারের বেশি সমর্থকদেরত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার। স্থানীয় সময় সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধের এ ঘোষণা দিয়েছে। ট্রাম্পের উগ্রবাদী সমর্থকরা কিউঅ্যাননের সঙ্গে জড়িত থাকায় স্থানীয় সময় সোমবার টুইটার এক ঘোষণায় এ কথা জানায়। ‘কিউঅ্যানন’ হলো উগ্র দক্ষিণপন্থী একটি তত্ত্ব। এই মতবাদ ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পাশাপাশি সংঘটিত সহিংস ঘটনাকে সমর্থন করে।
এক ব্লগপোস্টে টুইটার বলছে, তারা গত শুক্রবার বিকেল থেকে উগ্র দক্ষিণপন্থী কিউঅ্যাননের বার্তা শেয়ার করায় কয়েক হাজার অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করা শুরু করেছে। ওয়াশিংটন ডিসিতে সহিংস হামলার ঘটনা ও আরো বিপদের আশঙ্কায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে টুইটার।
কিউঅ্যানন গ্রুপ থেকে বিভিন্ন সময় নানা রকম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। আর মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই এরই মধ্যে কিউঅ্যানন গ্রুপকে ‘দেশীয় সন্ত্রাসবাদের সম্ভাব্য উস্কানিদাতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
টুইটার বলছে, শুক্রবার থেকে ৭০ হাজারেরও বেশি অ্যাকাউন্ট টুইটার বন্ধ করা শুরু করেছে। এগুলোর মধ্যে এক ব্যক্তি অনেক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে এমন অ্যাকাউন্টও ছিল।
এর আগে ৮ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইটার স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, কয়েক দিন ধরে ট্রাম্পের করা টুইটগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেই অ্যাকাউন্ট বন্ধের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফেসবুক আগেই ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে।
এরপরই রক্ষণশীলদের কাছে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম পার্লার থেকে পরে ট্রাম্প নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম তৈরির ঘোষণা দেন। এ নিয়ে তিনি অন্যান্য সাইটের সঙ্গে আলাপ করছেন বলেও জানান।
এদিকে এরইমধ্যে গুগল প্লে স্টোর থেকে নিষিদ্ধ হয়েছে পার্লার। অ্যাপল স্টোর থেকে সম্ভাব্য অপসারণ সম্পর্কে পার্লারকে আগেই সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ট্রাম্পের শত শত উগ্র সমর্থক ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালায়। জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয়নে এ সময় কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল। নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজিত হওয়ার ফল পাল্টে দেওয়ার লক্ষ্যে এই হামলা চালানো হয়। এতে মার্কিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হন।