চীনের উহান থেকে বিশ্বের ২১২টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে মহামারী করোনাভাইরাস। বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত ৫১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে মারা গেছেন ২ লাখ ৩৫ হাজার ৪৩২ জন।
বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আছে রাশিয়া ও ব্রাজিল। কিন্তু বরাবরই চীনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আড়ালে থেকে গেছে।
আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর যে সংখ্যা চীন সরকার এতদিন জানিয়ে আসছিল দেশটিতে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা তার চেয়ে কয়েক লাখ বেশি বলে দেশটির এক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তে জানা গেছে।
প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ২৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে চীনে। তবে পশ্চিমা দেশ ও গণমাধ্যম এই আক্রান্তের সংখ্যা ও বেইজিং সরকারের দেওয়া তথ্যের স্বচ্ছতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছিল। মাঝখানে চীন করোনার উৎপত্তিস্থল উহানে করোনায় মৃতদের সংখ্যাতেও অবশ্য আরও কিছু নাম যোগ করে।
তবে এখন চীনের হুনান প্রদেশের রাজধানী চাংশায় অবস্থিত ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ডিফেন্স টেকনোলজির ফাঁস হওয়া এক নথি থেকে জানা যায়, চীনে এখন পর্যন্ত ৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষ নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন; যা সরকারি হিসাবের চেয়ে সাড়ে ৬ গুণেরও বেশি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফরেন পলিসিসহ বিশ্বজুড়ে আরও শতাধিক রিপোর্টারের কাছে পৌঁছে গেছে এই নথি। তারা এ নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানিয়েছেন, প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত চীনের অন্তত ২৩০টি শহরের ৬ লাখ ৪০ হাজার মানুষ এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন।
আক্রান্তের এ সংখ্যা নাকি আরও বেশি হতে পারে। তবে বেশকিছু সীমাবদ্ধতার কারণে আক্রান্তের এই সংখ্যা কমও হতে পারে বলে জানা যায়। এছাড়া রিপোর্টারদের হাতে আসা ওই নথিও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। তবে আক্রান্তের এমন সংখ্যা নিয়ে তথ্য ফাঁস হওয়ার বিষয়টি চীনের তথ্য গোপনের বিষয়টিকে ফের সামনে এনেছে।
বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও তাদের দেহে এর কোনো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না, ফলে শুধু চীন নয় বিশ্বের সব দেশেই সরকারি হিসাবে দেওয়া আক্রান্তের চেয়ে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যাটা অনেক বেশি হতে পারে।