রাঙ্গামাটিতে বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন শেষে বাড়িতে ফেরার পথে সন্ত্রাসীর গুলিতে ৬ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ১ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ১ জন পোলিং অফিসার ও ৩ জন আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম জানা যায়নি। বাঘাইছড়ি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুরুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় আরো ১১ জনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে জালভোট ও কারচুপির অভিযোগ এনে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ছয় চেয়ারম্যান ও চার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
কেন্দ্রে যেতে বাধা ও রাতে ব্যালটবাক্স ভর্তির অভিযোগে সোমবার বেলা ১২টার দিকে তারা নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে রাঙ্গামাটির রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন জনসংহতি সমিতির নেতা পঞ্চানন চাকমা, যানচিনা চাকমা, ইউপিডিএফ সমর্থিত রূপম চাকমা ও কেনারঞ্জন চাকমা। নানিয়ারচর উপজেলা সদরে স্থানীয় সাংবাদিকদের তারা এ তথ্য জানান।
এ ছাড়া ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বাঘাইছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সমীরণ চাকমা, সুমিতা চাকমা, নানিয়ারচরে কোয়ালিটি চাকমা ও রণবিকাশ চাকমা ভোট বর্জনে ঘোষণা দেন। যদিও ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে রাঙ্গামাটির প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সকাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলার ২০৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ করে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।