মোঃ খোরশেদ আলম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার ১৪নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের বাখরনগর গ্রামের হোসেন মিয়া (৬০) ৪০ বছর ধরে ভিক্ষা করছে এবং মানবেতর জীবনযাপন করছে। হোসেন মিয়া জানান, তার সারাটা জীবন ভিক্ষায় ভিক্ষায় কেটে গেল।অন্যের বাড়িতে বাড়িতে ভিক্ষায় চলে তার সংসার। অন্যের বাড়িতে ছোট্ট একটি একচালা ভাঙ্গা ঘরে চলছে তার বসবাস।
জানা যায়, ১৪নং নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের বাখরনগর গ্রামের মৃত জোনাব আলী এবং মৃত কেতনের নেছা এর ছেলে হোসেন মিয়া কিন্তু অনেকে বলে হোসেন মিয়া তাদের পালক ছেলে। তার নেই কোন ভাই বোন। জানা যায় হোসেন মিয়া বিয়ে করলেও বউ তাকে ছেড়ে চলে যায় এবং এখন তার কাছে বিয়ে দিতেও কেউ রাজি হয় না। এখন হোসেন মিয়ার নেই বাবা মা,ভাই বোন, ছেলে মেয়ে এবং অসহায় ভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে। হোসেন মিয়ার নেই কোন জায়গায় জমি নেই কোন থাকার ঘর এবং নেই তাকে দেখার কেউ। এখন সে জদু মিয়া এবং তার বউ নূরজাহান বেগমের বাড়িতে ছোট্ট একটি একচালা ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছে।
হোসেন মিয়ার বর্তমান অবিভাবক জদু মিয়া জানান আমি ৬ নং ওয়ার্ডের মোতালেব মেম্বারের কাছে কয়েক বার গিয়েছিলাম তার ব্যাপারে কিন্তু মেম্বার আমাদের কোন সহায়তা দেয় নাই। যার ফলে তার ভিক্ষাই একমাত্র অবলম্বন। কয়েক বছর আগে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় তার পায়ে বেশ আঘাত পেয়েছিল যার কারণে ভিক্ষা করতেও তার অনেক কষ্ট হয়। এখন হোসেন মিয়া দিশেহারা। বয়স হয়ে যাওয়ায় এখন সে আগের মত ভিক্ষা করতে পারছেন না।
জদু মিয়া আরও বলেন, সুনেছি শেখ হাসিনা গরীবদের নাকি জায়গা এবং ঘর দেয়। যদি সে একটু জায়গা এবং একটি ঘর পেত তাহলে বাকি জীবনটা ভাঙ্গা ঘরে আর থাকতে হত না। থাকত না বৃষ্টির ভয়। তিনি আরোও জানান, ৫০ বছর ধরে ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছে সে। মেঘ দেখলে বৃষ্টির ভয়! একটি ঘর পাওয়ায় আসায় মেম্বার কাছে বহু বার গেছি।
ভিক্ষুক হোসেন মিয়ার বিষয়ে, স্থানীয় লোকজন বলেন, আসলেই হোসেন মিয়া অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারীভাবে একটু জায়গা এবং একটি ঘর পেলে তার অনেক উপকার হত। তবে আমরা আশা করি সরকারী ভাবে সব ধরনের সহযোগীতা তাকে যেনও করা হয়।