সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব দিতে হবে। তবে আগামী বছর থেকে প্রতি বছরের সম্পদের হিসাব ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে। নিজ নিজ মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে সম্পদবিবরণী জমা দিতে হবে।
আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।
তিনি বলেন, সম্পদবিবরণী জমা দেওয়ার বিষয়ে একটি ফরম তৈরি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী জমা দিতে হবে। না দিলে বা ভুল তথ্য দিলে মাত্রা অনুযায়ী গুরুদণ্ড বা লঘুদণ্ড দেওয়া হবে। সম্পদের বিবরণী সিলগালা খামে করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে বলেও জানান সচিব।
সিনিয়র সচিব জানান, সম্পদ বিবরণীতে অনিয়ম পেলে অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় সরকারি কর্মচারীরা তীরস্কার ও চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে পারে।
সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ (৩০/১২/২০০২ তারিখের সংশোধনীসহ)-এর বিবি-৬৩ অনুযায়ী সকল সরকারি কর্মচারীর জন্য সম্পদ-বিবরণী দাখিল করা আবশ্যক। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ এ লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হতে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে সকল সরকারি কর্মচারীকে সম্পদ-বিবরণী দাখিলের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
এদিকে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ সাধারণ মানুষের নামে করা হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে পাঠানো এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং নিরীহ ব্যক্তিগণের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য জেলা পর্যায়ে এবং মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলাদা দুটি কমিটি করা হয়েছে।
অফিস আদেশে জেলা পর্যায়ের কমিটিতে সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সুপারকে (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) করা হয়েছে সদস্য। এ ছাড়া পাবলিক প্রসিকিউটরকে (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর) সদস্য করা হয়েছে।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম