জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ৩রা নভেম্বর ছিল ইতিহাসের আরেক জঘন্যতম অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে খুনিরা বুঝে গিয়েছিল, জাতীয় চার নেতা পুনরায় দলকে সংগঠিত করে ফেলবে। দল সংগঠিত হলে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হবে। এই চার নেতাই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বঙ্গবন্ধুকে প্রধান করে সরকার গঠন করেছেন। নয় মাস যুদ্ধ পরিচালনা করে দেশকে স্বাধীন করে ফেলেছেন। সবাই বেঈমানী করলেও চার নেতা বঙ্গবন্ধুর সাথে বেঈমানী করবেন না। খুনি মোশতাক নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল এই চার নেতাকে মন্ত্রী হওয়ার। তারা সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন, এবং খুনি মোশতাক তাদেরকে জেলে পাঠিয়েছেন। জেলে পাঠিয়েও মোশতাক নিশ্চিত হতে পারেনি। নিজের ক্ষমতাকে কন্টকমূক্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে রাতের অন্ধকারে জেলের অভ্যন্তরে এই নেতাদের হত্যা করার। জেলার রাজী না হলে মোশতাক নিজে ফোন করে খুনিদের যা করতে চায় তা করার অনুমতি দিতে নির্দেশ দেয়। এই নির্দেশের ফলে দেশের আইন ধ্বংস করা ছাড়াও মানবতা হরণ করেছে নির্মমভাবে। ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিতভাবে এই হত্যা সীমারকেও হার মানিয়েছে। জাতি সেই কলঙ্ক ভুলে যায়নি- ভুলবে না কোনদিন। ক্ষমা করবেনা কোনদিন।
জেলের অভ্যন্তরে নিহত চার নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী মহা নায়ক। এই মহান নেতাদের অনুপুস্থিতি অনুভূত হয় আজও। বাংলাদেশ কখনোই ভুলবেনা স্বাধীনতার নায়কদের। জাতি এই কলঙ্ক ঘৃণাভরে স্মরণ করবে, ঘৃণা জানাবে খুনিদের। শহীদ জাতীয় চার নেতাদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।
আজিজুর রহমান প্রিন্স
টরিন্টো, কানাডা