তিমির বনিক, মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি: বাবার স্বপ্ন পূরণে তিন বছরে হাফেজ হয়েছেন স্কুলছাত্র এসএম আরিফ মাহমুদ। ১৩ বছর বয়সী আরিফ তারাবির নামাজের ইমামতি করছেন সাহসিকতার সঙ্গে। তারাবির নামাজ পড়াতে গিয়ে রমজান শুরু হওয়ার মাত্র কয়েকদিনে মুসল্লিদের নজর কেড়ে নিয়েছেন আরিফ।
বাবার স্বপ্ন ছিল আরিফ একদিন কোরআনে হাফেজ হবেন। মাত্র তিন বছরেই বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করে দিলো আরিফ। ২০২১ সালে পঞ্চম শ্রেণি পাস করার সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র কোরআন মুখস্থ করে শেষ হয় তার তালিম। তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় হাফেজি পড়া শুরু করেন আরিফ।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার খারপাড়া গ্রামের স্কুলশিক্ষক মাওলানা মো. আব্দুস শহীদ ও শিক্ষিকা মোছাম্মাৎ জাহানারা বেগমের ছেলে এসএম আরিফ মাহমুদ।
পারিবারিক সূত্র মতে জানা গেছে, আরিফ ২০১৮ সালে তৃতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন মৌলভীবাজারের তাহফিজুল মডেল মাদ্রাসায় কোরআন মুখস্থ শুরু করেন। ২০২১ সালে তিনি কোরআনে হাফেজ হয়ে যান। চলতি রমজানেই রাজনগর উপজেলার কর্ণিগ্রাম জামে মসজিদে তিনি খতম তারাবির নামাজ পড়াতে শুরু করেন। দক্ষতার সঙ্গে তার নির্ভুল তেলাওয়াতে মা বাবা পরিবারসহ এলাকার সবাই আনন্দিত।
মসজিদটির মুসল্লি তছকির খাঁন বলেন, এই ছোট শিশুর সাহসিকতার সঙ্গে নির্ভুল কোরআন তেলাওয়াত পাঠে আমাদের মুগ্ধ করেছে।
এলাকার মুসল্লি আব্দুল হান্নান বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম এত ছোট ছেলে কিভাবে খতম তারাবি পড়াবে! হয়তো ভুল করতে পারে! কিন্তু তার কোরআন তেলাওয়াত আমাদের বিমোহিত ও ভালো লাগার স্থান তৈরি করে নিয়েছে।
এলাকার আকলুমিয়া চৌধুরী বলেন, আমাদের মসজিদে খতম তারাবি পড়াতে আরিফের সঙ্গে হাফেজ নাজিম উদ্দিন (৩৫) আছেন। আরিফ সকলের নজর কেড়েছেন।
মসজিদের ইমাম সাদিকুর রহমান বলেন, কোরআন মুখস্থ করা সাধনার ব্যাপার। আরিফ আসলেই আমাদের অবাক করেছে, আমাদের অহংকার।
আরিফের বাবা মাওলানা মো. আব্দুস শহিদ বলেন, আমার দুই ছেলে আসিফ ও আরিফ। আমি স্বপ্ন দেখতাম আরিফ হাফেজ হবে। আমার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি সবার কাছে দোয়া চাই আমার ছেলে যেন কোরআন মুখস্থ রাখতে পারে এবং ইসলামের সাথে সহি সালামতে দায়িত্ব রক্ষা করতে পারে।