বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকার এফডিসি ক্রসিংয়ে অস্থায়ী রেল শ্রমিকরা যে অবরোধে নেমেছিলেন তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১৯ ডিসেম্বরের (বৃহস্পতিবারের) মধ্যে রেলওয়ের অস্থায়ী গেটকিপার-ওয়েম্যানদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে- কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাস পেয়ে রেলপথ ছেড়ে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের মধ্যে বেতন না পেলে আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর) আবারও আন্দোলনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে একটার দিকে রেলপথ ছাড়েন তারা। ফলে তিন ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়। দুপুর একটা ৫৫ মিনিটে প্রথম ট্রেন এফডিসি রেলক্রসিং পার হয়ে তেজগাঁও স্টেশন থেকে ঢাকা স্টেশনের দিকে যায়।
এর আগে আন্দোলনকারী গেটকিপার সাব্বির হোসেন বলেন, এখানে রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় ম্যানেজার এসেছিলেন। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আমাদের বেতনের টাকা তাদের কাছে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এসেছে। বেতন হিসাব করে অনলাইনে ইনপুট দিতে আর একদিন সময় লাগবে। তারা বলেছে সর্বোচ্চ বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের বেতন হয়ে যাবে।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি করে বলেন, যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে আমাদের বেতন দেওয়া না হয়, তাহলে আগামী রোববার সকালে আবারো এই আন্দোলন করা হবে। সেদিন কারো আশ্বাসে আমরা রেললাইন ছেড়ে যাব না। বেতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রেললাইনে অবস্থান করব।
ঘটনাস্থলে থাকা রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মো. মহিউদ্দিন আরিফ বলেন, তাদেরকে যেখান থেকে বেতন দেওয়া হয় সেই বরাদ্দ না থাকা ও আইবাস জটিলতার কারণে বেতন বকেয়া হয়ে গেছে। আমরা এখন বরাদ্দ পেয়েছি। শুধু আইবাসে ইনপুট দেওয়ার কাজটুকু বাকি আছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে বেতন হয়ে যাবে।
জানা গেছে, তিন দাবিতে রেলপথ অবরোধ করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের এসব অস্থায়ী শ্রমিক। এর মধ্যে আছে পাঁচ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ, সকল শ্রমিকের বেতন পরিশোধ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি।
অস্থায়ী এসব কর্মী (টিএলআর) রেলের কর্মচারী নন। তারা প্রাত্যহিক কাজের ভিত্তিতে মজুরি পান। তারা রেলওয়ের বিভিন্ন দপ্তরের পোর্টার, গেটকিপার (ট্রাফিক/ইঞ্জিনিয়ারিং), খালাসি, ওয়েম্যান, অফিস সহকারী, ওয়েটিং রুম কেয়ারটেকারসহ বিভিন্ন পদে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম