ঢাকঢোল পিটিয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়ে বি এন পি’র নেতারা কেউ মঞ্চে ছিলেন না। স্থান ত্যগ করে চলে গেছেন। শান্তিপূর্ন সমাবেশ করার অঙ্গীকার করে তান্ডব চালিয়েছে পুলিশের উপর। একজন পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে নির্মমভাবে। একই সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে আক্রমণ করে অসুস্থ রোগীদের আহত করেছে। বিচারপতির বাস ভবন এবং সচিবালয়ের গেট ভেঙ্গে গাড়ী ভাঙ্গচুর করেছে। পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। গোটা শহর তান্ডবতায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। মির্জা ফখরুল সকাল সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়ে সটকে পরেছে।
গত ২৯ তারিখ হরতাল পালিত হয়েছে। বিক্ষিপ্ত ভাবে অগ্নি সংযোগ চলেছে বিভিন্ন স্থানে। ৩১ শে অক্টোবর থেকে আবার তারা সারা দেশে অবরোধের ডাক দিয়েছে। বি এন পি’র ডাকা এই মহাসমাবেশ নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে গুজব ছড়িয়েছে। আলোচনা হচ্ছে মহাসমাবেশ করে বি এন পি কি অর্জন করলো! সরকার পতনের যে ঘোষনা বি এন পি দিয়েছিল তারইবা কি হল?
✪ আরও পড়ুন: কোন পক্ষটি সমর্থন করবে!
✪ আরও পড়ুন: বি এন পি’র রাজনীতি
✪ আরও পড়ুন: ড: ইউনুস
✪ আরও পড়ুন: যুদ্ধটি সহজ হবে না!
✪ আরও পড়ুন: বিএনপি দলের এক দফা
বিজ্ঞ জনদের বিশ্লেষনই এখন চাউর হচ্ছে ” বি এন পি ভুল কার্ড খেলেছে”। বরং যে সব বিদেশী বন্ধুদের পরামর্শে দলটি হার্ড লাইনে গিয়েছিল সেই বিদেশী বন্ধুরাও এখন মূখ ফিরিয়ে নিয়েছে। বি এন পি’কে যারা সমর্থন করে তারাও এখন ভয় পাচ্ছে। শান্তি সমাবেশের নমুনা যদি এমন হয় ক্ষমতায় গেলে তারা দেশে কি কান্ড ঘটাবে? আজ সংবাদ পাড়ায় খবর ছড়িয়েছে বিদেশে থাকা তারেক রহমানের অনুসারীরা এই অপকর্ম ঘটিয়েছে। তাহলে তারেকের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের অনৈক্যটি পরিস্কার। অর্ধেক জেলাতেই পুর্নাঙ্গ কমিটি নেই। নেতা কর্মীরা হয় পলাতক না হয় ধরা পরে শ্রীঘরে। সরকারের মেয়াদ আছে আর মাত্র ৩০ দিন। এখনো দলটির দাবী তারা সরকারের পতন ঘটিয়ে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন করবে! তা কি সম্ভব?
প্রশ্ন উঠেছে নির্বাচনে বিজয়ী হলে কে হবে বি এন পি সরকারের প্রধানমন্ত্রী? বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়া দুজনেই নির্বাচনে অযোগ্য। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। মির্জা ফখরুলই কি তাহলে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? ১৫ বছর দলটি ক্ষমতার বাইরে। জনগনের স্বার্থসংশ্লিষ্ঠ কোন বিষয় নিয়ে বি এন পি আন্দোলন করেনি। এখন পৃথিবী জুড়ে বিশ্বযুদ্ধের পদধ্বনি, সব দেশ জনগনকে সুরক্ষা দিতে মতভেদ ভুলে এখন ঐক্যবদ্ধ। বি এন পি এই সময়েও এমন এক দেশের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করেছে বিশ্বযুদ্ধ বাধলে দেশটি হবে এশিয়ার প্রতিপক্ষ। এই নেতারা কি দেশপ্রেমিক? কি কর্মসূচী নিয়ে দলটি নির্বাচনে জনগনের কাছে ভোট চাইবে? এসব নিয়েই এখন চুলচেরা বিশ্লেষন হচ্ছে। সব নিরীক্ষার ফলাফল পেলেই বুঝা যাবে জনগন কার পক্ষে ভোট দিবে। তবে আপাত দৃষ্টিতে বলাই বাহুল্য বি এন পি ভুল রাজনীতি খেলেছে। ২৮ তারিখ ছিল দলটির সেই ভুলের ফাইনাল পরিনতি। এখন দলটির ভাগ্যে কি ঘটবে তা ভবিতব্যই জানে!
✪ আরও পড়ুন: রাজকাহন
✪ আরও পড়ুন:গণতন্ত্র
✪ আরও পড়ুন:বিদেশী প্রেস্ক্রিপশনে শেখ হাসিনা চলেননা
✪ আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন এক চরম দু:সময় চলছে
আজ ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | দুপুর ২:০৩ | শনিবার
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি