নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি ( মোঃ শফিকুল ইসলাম )
গত ২৮ জানুয়ারি খুব ধুমধাম করে বিয়ে দেন মেয়ে আফরোজা সুলতানা স্মৃতির (২৪)। ভালোই চলছিল মেয়ের নতুন সংসার। কিন্তু বুধবার রাতের আচমকা আগুনে জামাই মাহবুবুর রহমান রাজু ও তার ছোট ভাই মাসুদ রানা পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।
রাজুর শশুর কান্না জড়িত কন্ঠে বলেছিলেন, এই ছিল আমার মেয়ের কপালে।কত আয়োজন করে বন্ধু সাহেব উল্ল্যাহর ছেলের সাথে বিয়ে দিলাম।কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস মাস না যেতেই মা ( মেয়ে ) আমার বিধবা হলো। ওর সামনে আমি কি করে দাড়াবো।
চকবাজারেই কাপড়ের ব্যাবসা করেন রাজু। দেখে শুনেই রাজুর সাথে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলাম। আগুনের খবর মোবাইলে পেয়ে ছুটে আসি। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখায় দোকানের কাছেই যেতে পারিনি। পরে শুনলাম ওরা আগুনের ভয়ে দোকানের সাটার আটকিয়ে ভিতরে ছিলো। আর বের হতে পারে নি। ওখানেই ওরা…………
আগুন লাগার আধা ঘন্টা আগেও রাজুর মা দেখা করে গিয়েছিল।
তিনি বলেন সরকারের উচিত এসব বিষয়ে খেয়াল রাখা। যেখানে সেখানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হবে, আর মারা যাবে সাধারন মানুষ।
সিলিন্ডার ব্যাবসা বন্ধ করা উচিত, করা নজরদারিতে রাখা উচিত আগুন বোমা।
রাজুরা তিন ভাই, তাদের মোবাইল লোডের আরেকটি দোকান আছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাজুর সিরিয়াল ৪০ রানার ১২, রাজুর বাবা ও শশুর লাশের জন্য দারিয়ে আছে। লাশ নিয়ে যাবে গ্রামের বাড়ি। সেখানেই দাফন হবে দুই ভাইয়ের।