জাপানে একদিনে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ১৫৫ বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে কিয়োডো নিউজ অ্যাজেন্সি।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত ১৫৫ বার কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রাতর প্রতিটি ছিল ৭.৬ ও ৬। জাপানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার থেকে দ্বীপরাষ্ট্রে ১৫৫টিরও বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।সুনামি সতর্কতাও রয়েছে। পাঁচ ফুটের মতো উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়েছে।
রয়টার্স সূত্রে খবর,৩৩ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন। প্রধান মহাসড়ক সহ সারা দেশে বেশ দেশে বন্ধ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট। যার ফলে চিকিৎসা সেবা ও সেনা সদস্যদের উদ্ধার এবং পরিষেবার সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গতকাল সোমবার জাপানে ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে মঙ্গলবার।
হোনশুর প্রধান দ্বীপের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে আঘাত করা ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্পে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ এক মিটারেরও বেশি উঁচু ছিল। এতে ভবনগুলো ভেঙে পড়েছে, বন্দরে আগুন লেগেছে এবং অনেক রাস্তা ভেঙে গেছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বৈঠকের পর বলেছেন, ‘অসংখ্য হতাহত, ভবন ধস ও দাবানলসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সন্ধান ও উদ্ধারের জন্য আমাদের সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়াতে হবে।’
জাপান প্রতি বছর শত শত ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। জাপান সরকারের এক প্রতিবেদনে গত বছর বলা হয়, ‘২০১৮ সাল থেকে নোটো উপদ্বীপ অঞ্চলে ভূমিকম্পের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।’
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে উত্তর-পূর্ব জাপানের সমুদ্রের নিচে ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ১৮ হাজার ৫০০ জন নিহত হয়। এর ভয়াবহতা এতই বেশি ছিল যে, এটি ফুকুশিমা পারমাণবিক প্ল্যান্টকেও জলাবদ্ধ করেছিল, যা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ পারমাণবিক বিপর্যয়গুলোর একটি।
ডিবিএন/ডিআর/তাসফিয়া করিম