নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আসা বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা তাদের নিজভূমি রাখাইনে ২২ আগস্ট থেকে ফিরতে শুরু করবে। বৃহস্পতিবার দুই দেশের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করে।
আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার প্রত্যাবাসন চুক্তি সম্পন্ন হয়। একই বছরের ৬ জুন নেপিদোতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যেও সমঝোতা চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। তবে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানানোয় ওই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
নতুন করে উদ্যোগের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে জুলাই মাসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। ১৫ সদস্যের দলটি দুই দিন ধরে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক করে। বৈঠকগুলোতে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব ও চলাফেরায় স্বাধীনতার দাবি জানায় রোহিঙ্গারা।