মেজবান বাংলাদেশের বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের বহুমাত্রিক ঐতিহ্যবাহী একটি অনুষ্ঠান। চট্টগ্রামের ভাষায় একে বলা হয় ‘মেজ্জান’। মেজবান ফারসি শব্দ। এর অর্থ নিমন্ত্রণকর্তা। ১৫০০ ও ১৬০০ শতাব্দীর প্রাচীন পুঁথি সাহিত্যে মেজোয়ানি ও মেজমান শব্দ দুটি পাওয়া যায়। মেজোয়ানি অর্থ আপ্যায়নকারী ও মেজমান অর্থ আপ্যায়ন। মেজবানের রান্নার রয়েছে আলাদা বিশেষত্ব। মূল পদ গরুর মাংস হলেও এই মাংস রান্নার ধরন আলাদা। মসলাও ভিন্ন। শুধু তা-ই নয়, রান্নার ডেকচি থেকে শুরু করে চুলা পর্যন্ত আলাদা। এই কাজে দক্ষ চট্টগ্রামের বাবুর্চিরাও। বংশ পরম্পরায় তারা এই ঐতিহ্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। সাধারণত দুটি কারণে চট্টগ্রামে মেজবান হয়। একটি সুখ, মানে খুশি। আরেকটি শোক, মানে অনুতাপ। যেমন কারো মৃত্যুর পর কুলখানি, চেহলাম, মৃত্যুবার্ষিকী, যাতে থাকে সম্পূর্ণ ছওয়াবের উদ্দেশ্য। শিশুর জন্মের পর আকিকা উপলক্ষেও মেজবান আয়োজন করা হয়।
গত ২১ বছর ধরে এমনি এক মেজবানের আয়োজন করে চলেছেন ‘কানাডা ন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন’ এর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিজনেস চেম্বার কানাডার ডিরেক্টর এডমিন, এনআরবি ওয়ার্ল্ড এর ভাইস চেয়ারম্যান, কানাডার আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ডিজিটাল বাংলা নিউজ ডট কমের সম্মানিত চেয়ারম্যান এম. হাসান মুক্তার।
প্রতি বছর ২২ সেপ্টেম্বর ফটিকছড়ির নানুপুরের কৃতি সন্তান হাসান মুক্তারের আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ ১৫ আগস্টে নিহত সকল শ্রদ্ধেয় শহীদ্গণ এবং তার শ্রদ্ধেয় পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম দেলোয়ার হোসাইন চৌধুরী, শ্রদ্ধেয়া মাতা মোমেনা খাতুন, বীর মুক্তিযোদ্ধা জি. এম চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আনোয়ার হোসাইন চৌধুরীর আত্নার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ও জিয়াফত অনুষ্ঠিত হয়।
এম. হাসান মুক্তারের গ্রামের বাড়ী নানুপুরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া মেজবানের খাবার পরিবেশন চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
এতে অংশগ্রহণ করেন ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের পুত্র, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেদুর রহমান সুমু, ওয়েল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দীন মুহুরী, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য সৈয়দ মাহমুদ বাকের, আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ হোসেন মিল্লাত, আব্বাস উদ্দীন বাদল, সাজিদ হায়দার রেজা, সাদাত আনোয়ার সাদী, ফটিকছড়ি পৌরসভা মেয়র ইসমাইল হোসেন, মাযহারুল উলুম গাউছিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোসলেহ উদ্দীন মাদানীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিকনেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সাংগঠনিক নেতৃবৃন্দসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার অসংখ্য মানুষ।
ডিবিএন/এসই/ মোস্তাফিজুর রহমান বাপ্পি