অর্থনীতি ডেস্কঃ চলতি ২০২১-২২ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইটে ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হবে।
গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবৃদ্ধি অর্জনের এই হিসাবে নেপাল ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও ভারতের চেয়ে পিছিয়ে থাকবে বাংলাদেশ। এতে আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ, পাকিস্তানের ৩ দশমিক ৪ শতাংশ এবং নেপালের ৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, করোনা সংক্রমণ ও সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটার জন্য বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি লক্ষণীয়ভাবে গতিহীন হয়ে পড়বে। এতে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছর কমে ৪ দশমিক ১ শতাংশ হবে।
এছাড়া প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, করোনা মহামারি সংকটে কমেছে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। মারণ ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের ফলে আগামী দিনে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে পড়তে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধি আরও কমবে। করোনা সংকটে উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে ‘হার্ড ল্যান্ডিং’র ঝুঁকির মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ এবং বৈষম্যে অনিশ্চয়তা তীব্র হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ সালে একটি শক্তিশালী প্রত্যাবর্তনের পরে বিশ্ব অর্থনীতি সুস্পষ্ট মন্দার মধ্যে প্রবেশ করছে। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নতুন হুমকি হয়ে আসছে। মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ এবং আয় বৈষম্য বৃদ্ধির ফলে যা উদীয়মান এবং পুনরুদ্ধারকে বিপন্ন করতে পারে। বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস রিপোর্টে এমন তথ্য উঠে এসেছে।