মোঃ সদরুল কাদির (শাওন), আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ‘বিশ্ব হিজাব দিবস। ’ গত ৬ বছর থেকে নিউইয়র্ক সিটিতে এ দিবস পালিত হচ্ছে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে। এবারও সিটি হলের বারান্দায় ঐদিন বেলা ১২টায় সকলে জড়ো হবেন। মিলিত হবেন সংবাদ সম্মেলনে।
দাবি জানাবেন, হিজাব বিরোধী মনোভাব পরিহারের, ধর্ম ও জাতিগত বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার।
এ কর্মসূচির প্রবক্তা বাংলাদেশি এ্যাক্টিভিস্ট মাজেদা-এ-উদ্দিন বলেন, কয়েক বছর আগে নাজমা খান নামক এক বাংলাদেশি ছাত্রী জ্যামাইকায় আক্রান্ত হন। বাংলাদেশি পোশাকে তিনি পথ পাড়ি দিচ্ছিলেন বলেই বিদ্বেষমূলক আচরণের কবলে পড়েন। সেই ঘটনার প্রতিবাদ, নিন্দা এবং সর্বসাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে শুরু হওয়া হিজাব দিবস এবারও উদযাপিত হবে ঐ একই চেতনায়। কারণ এখনও ধর্মীয় পোশাক, জাতিগত কারণে বৈষম্যের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে সর্বত্র। এবারের কর্মসূচিতে নাজমা খানও থাকবেন।
উল্লেখ্য, নাজমা খানই হচ্ছেন এই কর্মসূচির উদ্যোক্তা। তার পাশে ঢাল হিসেবে দাঁড়িয়েছেন মাজেদার মত নারী জাগরণের কর্মীরা। মাজেদা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান প্রদত্ত অধিকার খর্ব করার বিরুদ্ধে নিরবতা অবলম্বনের সুযোগ নেই।
ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। হিজাব দিবসে সে সুযোগ দেয় সকল অধিকার সচেতন মানুষকে। আপনি কোন ধর্মের-বর্ণের-গোত্রের, সেটি বড় কথা নয়, আপনি একজন মানুষ- এ চেতনায় জড়ো হন হিজাব দিবস’র কর্মসূচিতে।
মাজেদা বলেন, আমরা নিউইয়র্ক স্টেট পার্লামেন্টে ‘ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে’র দাবি জানিয়েছিলাম। ২০১৬ সালে সে বিল উঠিয়েছিলেন স্টেট সিনেটর রোকসানা জে পারসুয়াদ। সেটি পাশ হয়েছে ‘জাতীয় সিলেব্রেশন ডে’ হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড হিজাব ডে’ শিরোনামে। হিজাব ডে’র সাথে ইতিমধ্যেই সংহতি প্রকাশ করেছেন ৪৫ দেশের ৭০ জনের অধিক রাষ্ট্রদূত, খ্যাতনামা রাজনীতিক, স্কলারসহ টাইম ম্যাগাজিন, সিএনএন-এর মত বিশ্বখ্যাত গণমাধ্যম। এবারের হিজাব দিবসের স্লোগান হচ্ছে, ‘হিজাব ইজ মাই ফ্রিডম’, ‘হিজাব ইজ মাই প্রটেকশন’, ‘হিজাব ইজ মাই চয়েস’, ‘হিজাব ইজ মাই কভার’ ইত্যাদি।